Bally Municipality: সাধারণের স্বার্থেই হাওড়া থেকে বিযুক্তিকরণের পথে বালি, বিধানসভায় প্রস্তাব আনল সরকার
Bally Municipality: কেন বালিকে যুক্ত করা হল, সে বিষয়ে এদিনের আলোচনায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন বিধায়ক। তাঁদের বক্তব্য, বালির মানুষের কিছু সমস্যা হচ্ছিল।
কলকাতা: বিধানসভায় হাওড়া পুরনিগম থেকে বালিকে বিযুক্তিকরণের প্রস্তাব আনল সরকার। বিধানসভায় বালি নিয়ে আলোচনায় বালি ও কান্দির বিধায়ক রয়েছেন। রয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিরোধীরা এই আলোচনায় নেই। বক্তার তালিকায় মাত্র শাসকদলের দুই বিধায়ক। বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় ও কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার আলোচনায় রয়েছেন।
কেন বালিকে যুক্ত করা হল, সে বিষয়ে এদিনের আলোচনায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন বিধায়ক। তাঁদের বক্তব্য, বালির মানুষের কিছু সমস্যা হচ্ছিল। বালির বাসিন্দাদের হাওড়া পৌর নিগমে গিয়ে কোনও কাজ করতে গেলে ৮ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে যেতে হত। বাস ধরে যেতে হত তাঁদের। ব্যস্ততার মাঝে সময় নষ্ট হত অনেকটাই। বালির মানুষের চাহিদা ছিল, ২০১৫-র সময়ে তাঁদের যে আলাদা পুরসভা ছিল, তা যেন তাঁরা ফিরে পান।
মুখ্যমন্ত্রী বালির মানুষদের সেই ইচ্ছাকে মান্যতা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি দুই বিধায়কের। তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে আর্থিক অনুদান নিয়ে। পুরনিগম থেকে আবার পুরসভায় পরিণত হবে বালি। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি সামলাচ্ছেন, ফলে আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রেও কোথাও কোনও সমস্যা হবে না। তেমন আশ্বস্ত করেছেন বিধায়ক।
তবে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে বালি পুরসভারও একই দিনে ভোট চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বালির প্রাক্তন কাউন্সিলররা। হাওড়ার পুরনিগম থেকে বালি পুরসভা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বালির ১৬ টি ওয়ার্ডে আপাতত ভোট হচ্ছে না বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে হাওড়ার মোট ৬৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টি ওয়ার্ডে ১৯ ডিসেম্বর পুর নির্বাচন হবে। বাকি ১৬ টি ওয়ার্ড নিয়ে আলাদা করে বালি পুরসভা গঠিত হবে। সেখানে কবে ভোট হবে তা পরে স্থির করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে হাওড়া পুরসভা বামেদের থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। প্রায় তিন বছর প্রশাসক বসিয়ে পুরসভার কাজ চলেছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট করাতে চেয়েছে রাজ্য। আর সেই প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে, বিজেপি চায়, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সমস্ত পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে হোক।
বিজেপিকে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। ভোট নিরপেক্ষতার সঙ্গে নাও হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাই যথেষ্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীও যাতে উপস্থিত থাকে সেই বিষয়টাও দেখার কথা আদালতে জানাবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Weather Update: ফের হাওয়াবদল! আগামী কয়েকদিনে এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি…কত দিন পর্যন্ত চলবে?