মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনে সিআইডি-র জালে মূল চক্রী
Mangolkot Murder Case: মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা অসীম দাস বিকেলে নিজের মোটরবাইকে করে কাসেমবাজারে যান। সেখান থেকে তিনি সন্ধ্যায় একাই নিজের বাড়ি লাখুড়িয়াতে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন।
কলকাতা: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা (Mangolkot TMC Leader Murder Case) অসীম দাস খুনের মামলায় গ্রেফতার এক। ধৃতের নাম রফিক শেখ। বুধবার গুসকরা থেকে সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রফিক।
জেরায় জানা গিয়েছে, খুনের দিন ঘটনাস্থলের আশেপাশেই ছিলেন রফিক শেখ। খুনের জন্য আরও এক জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। দূর থেকে গোটা বিষয়টির ওপর নজর রেখেছিলেন রফিক। ‘অপারেশন সাকসেস’ হওয়ার পর থেকেই এলাকা ছাড়েন। বেশ কিছুদিন বাইরে থাকেন। পরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা অসীম দাস খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সিআইডি তদন্তভার হাতে নেওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই খুন হন তৃণমূল নেতা অসীম দাস।
সেদিন ছিল সোমবার। মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা অসীম দাস বিকেলে নিজের মোটরবাইকে করে কাসেমবাজারে যান। সেখান থেকে তিনি সন্ধ্যায় একাই নিজের বাড়ি লাখুড়িয়াতে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন। সেইসময় পেছন থেকে তাঁকে ‘দাদা’ বলে ডাকে দুষ্কৃতীরা। গাড়ি থামিয়ে পেছনে ঘুরতেই অসীমবাবুকে গুলি করা হয়। গুলিটি লাগে তাঁর বুকের বাঁদিকে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে। ফলে, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্য়ু হয় তাঁর।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সুপারি কিলার নিয়োগ করে খুন করা হয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতাকে। আগেও, একবার দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন অসীম। তদন্তভার হাতে নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই গ্রেফতার করা হল মূল চক্রীকে। এই রফিক আদৌ সুপারি কিলার হিসাবে কাজ করতেন নাকি এর পিছনে রাজনৈতিক সক্রিয়তা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: লাইন দিয়ে গাড়িতে উঠছিলেন, চোখের নিমেশে পিছন থেকে পরপর ৪ জনকে পিষে দিল ট্রাক!