নির্বাচনের ফল থেকে জোট- কাটাছেঁড়া হবে একাধিক ইস্যুতে! সিপিএমের ৩ দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরু
Kolkata: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে জোট নিয়ে প্রবল প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেডকে।
কলকাতা: আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক (CPM Committee Meeting)। তিন দিনের এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের নেতারা কেউ বাড়ি থেকে যোগ দিয়েছেন, কেউ দলের সদর দফতর থেকে যোগ দিয়েছেন। এ কে গোপালন ভবন থেকে রয়েছেন সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব। একুশের নির্বাচনের ফল ঘোষণার প্রায় তিন মাসের মাথায় হল বৈঠক। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক একাধিক ইস্যুতে জর্জরিত বঙ্গ ব্রিগেডকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন ও তার ফল নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। এবারের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ফল করেছে সিপিএম তথা বামেরা। কোনও কাজেই আসেনি কংগ্রেস-আইএসএফের সঙ্গে জোট। এককালের বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গে দলের এহেন অবস্থায় প্রত্যাশিতভাবেই প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখীন হয়েছে সিপিএম। যদিও রাজ্য নেতৃত্ব এ ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছেন ইতিমধ্যেই। আপাতত এই মর্মে রাজ্য কমিটির তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে জোট নিয়ে প্রবল প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেডকে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বকলমে জোট কিংবা সমঝোতার রাস্তায় আদৌ হাঁটা হবে কিনা, তা নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বৈঠকে।
পাশাপাশি অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে যে সম্মেলনগুলি হওয়ার কথা রয়েছে শাখাস্তর থেকে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। করোনা আবহের মধ্যেই যেহেতু সম্মেলন রয়েছে, সেক্ষেত্রে বিষয়টি ভার্চুয়ালি হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হবে। রাজ্য এবং জেলা সম্মেলন ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কথা হতে পারে সেই বিষয়টি নিয়েও। পার্টি কংগ্রেস নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
দলে তরুণদের বিশেষ জায়গা দেওয়া নিয়েও আলোচনা হবে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের রাজ্য প্লেনামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে যুবদের পার্টিতে জায়গা করে দিতে হবে। সংখ্যাটা ২০% হতে পারে। যেটা বর্তমানে মাত্র ৫%। শতাংশের বিচারে এই সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা তলিয়ে ভাবছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন নেতৃত্ব। আলোচনা হতে পারে তা নিয়েও। আরও পড়ুন: ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ! হাতে লাল গোলাপ নিয়ে হাজির পুরসভার শিক্ষিকারা