বিরোধী-সত্ত্বায় শান! গেরুয়া শিবিরের ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি’র শেষ দিনে আজ উত্তপ্ত হতে পারে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ
Bengal BJP: বিজেপির এই ধরনা মঞ্চের অনুমতি না থাকায় জোর করে এই কর্মসূচি করতে গিয়ে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
কলকাতা: আজ, সোমবার বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচির শেষ দিন। রাজ্য জুড়ে বিজেপির (Bengal BJP) একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। গত সোমবার থেকে এই দিবস পালন করছে রাজ্য বিজেপি। ৮ দিনের এই কর্মসূচির আজ শেষ দিন। এদিন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, ধরনার আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতায় রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে ধরনা মঞ্চে থাকবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি রয়েছে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ারও কর্মসূচিও।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সন্দেহ করছেন, রানি রাসমনি রোডের ধরনা মঞ্চে আদৌ বসতে পারবেন কিনা দিলীপ-শুভেন্দুরা। কারণ বেলা ১০টা পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ধরনা মঞ্চের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। যদিও বিশ্লেষকদের কাছে এটাও স্পষ্ট, বিজেপির বেশিরভাগ কর্মসূচিতেই অনুমোদন দেয় না পুলিশ। এ দৃষ্টান্ত বঙ্গ রাজনীতিতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উত্তেজনাও তৈরি হয়।
তবে প্রতিবারের মতো রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবারও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অনুমোদন না থাকলেও কর্মসূচি হবে। সূত্রের খবর, এই ধরনা মঞ্চ থেকেই দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধি দলের রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার কথা রয়েছে।
নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি, ভোট পরবর্তী হিংসা-সহ একাধিক ইস্যুতে আরও একবার রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান তাঁরা। গত আট দিনের এক-একটা দিন তাঁরা এই ইস্যুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। রাজ্যের সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতির একটি চিত্র তাঁরা রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরবেন বলে রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন।
তবে বিজেপির এই ধরনা মঞ্চের অনুমতি না থাকায় জোর করে এই কর্মসূচি করতে গিয়ে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের খেলা হবে দিবসের পাল্টা কর্মসূচি হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস কর্মসূচি গ্রহণ করে বিজেপি। ৯ অগস্ট শাসকদলের সন্ত্রাস ও ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে মশাল মিছিল বার করে বিজেপি। ১০ অগস্ট ছিল স্বচ্ছতা অভিযান। ১১ অগস্ট বুথ স্তরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, ১২ অগস্ট কবাডি ও ফুটবল টুর্নামেন্ট ছিল। ১৩ অগস্ট মহিলাদের ওপর হিংসার প্রতিবাদে পথে নামে মহিলা মোর্চা। সেদিন রাজ্য জুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ভবানী ভবনের সামনে বিজেপি মহিলা মোর্চার একটি প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। মিছিল ভবানী ভবনের সামনে পৌঁছতেই বাধা দেয় পুলিশ। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেদিন অবশ্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই একই চিত্র দেখা যায়। মহিলার মোর্চার আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।
পরের আরও তিন দিনের কর্মসূচি বিজেপি শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ করে। তবে আজ, শেষ দিনের ধরনা মঞ্চ নিয়ে রানি রাসমনি রোড উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কিনা, সেদিকেই নজর পর্যবেক্ষকদের। তবে নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় গেরুয়া শিবির। আরও পড়ুন: ‘বাকিরা ডায়লগ দেয়, আমি গোল দিই’, তৃণমূলের ‘খেলা হবে দিবসে’ ফুটবল পায়ে চ্যালেঞ্জ দিলীপের