অনলাইন পাঠে সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

মূলত দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের সুবিধার্থেই এই পদক্ষেপ সরকারের। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

অনলাইন পাঠে সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী
Follow Us:
| Updated on: Dec 03, 2020 | 4:52 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যের সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার মোট সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে অনলাইন ক্লাস করার জন্য ট্যাবলয়েড দেবে রাজ্য সরকার (Mamata Banerjee announces to give tab)। মূলত দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের সুবিধার্থেই এই পদক্ষেপ সরকারের। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

তিনি বলেন, “অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হবে। তবে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের কথা বিশেষভাবে ভাবছে সরকার। অনেকেরই অনলাইন ক্লাস করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সে কথা মাথা রেখেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার মোট সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব দেওয়া হবে। তবে কানেকটিভিটি নিজেদের নিতে হবে।” পাশাপাশি রাজ্যের প্রত্যেক সরকারি স্কুলগুলিকে অনলাইন ক্লাসের জন্য একটি করে কম্পিউটারও দেওয়া হবে বলে এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

করোনা আবহে লকডাউন পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন চালু রাখার জন্য রাজ্যের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অনলাইন ক্লাস করার পরিকাঠামো কি সর্বত্র রয়েছে? বিশেষত গ্রাম বা মফ্ফস্বলগুলির ছেলেমেয়েরা যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের, তারা কতটা সক্ষম এই সুবিধা নিতে? স্মার্টফোনই বা ক’জন পড়ুয়ার হাতে রয়েছে? লকডাউন পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার।

মূলত বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, জঙ্গলমহল এলাকাগুলি পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সুন্দরবনের ছেলেমেয়েরা অনেকক্ষেত্রেই এই সুযোগ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছে শিক্ষা শিবির। আরও অভিযোগ, অনলাইন ক্লাস কীভাবে নিতে হবে, তার প্রশিক্ষণ রাজ্য সরকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়েছে ঠিকই, তবে বঞ্চিত থেকেছে অনেক পড়ুয়াই। অনলাইন পাঠে বঞ্চিতদের কথা মাথায় রেখেই এবার রাজ্য সরকারের নয়া উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ১৪ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। মাদ্রাসা ও সব রাজ্য সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব দিতে খরচ হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: মমতার সভার আগেই রবিবার কলকাতায় শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক: সূত্র

প্রসঙ্গত, এর আগে এই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছে কেরল সরকার। যে সব পড়ুয়াদের স্মার্ট ফোন নেই, বা টিভি নেই, ‘ভিউইং সেন্টার’ তৈরি করে তাদের অনলাইন ক্লাস দেওয়ার কথা ভাবে কেরল সরকার। পড়ুয়াদের ল্যাপটপ দেওয়ার কথাও ভাবে। এবার বাংলায় সেই উদ্যোগ।