Firhad Hakim: ‘নির্দেশ কেউ দেয় না, অনুরোধ যে কেউ করতেই পারেন’, বোলপুরের চিকিৎসক কাণ্ডে মুখ খুললেন ফিরহাদ
Firhad Hakim: বিতর্কের আবহে মুখ খুলেছেন খোদ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। এদিকে এই প্রেক্ষাপটেই অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার পাঠানো নিয়ে কথা বলতে দেখা গেল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।
কলকাতা: ফের বোলপুরের (Bolpur) চিকিৎসক কাণ্ডে নয়া মোড়। যে চিকিৎসক একসময় অনুব্রতর বেড রেস্টের প্রেসক্রিপসন লিখেছিলেন, তিনিই পরবর্তীতে জানিয়েছিলেন অনুব্রতর ‘চাপের’ মুখে পড়েই তিনি বেড রেস্টের কথা বলেছিলেন। কিন্তু, কার নির্দেশে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। বিতর্কের আবহেই জানা যায় বোলপুর মহকুমা হাসাপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর নেতৃত্বেই তিনি গিয়েছিলেন অনুব্রতর বাড়িতে। সামনে আসে একটি অডিয়ো ক্লিপও। অন্যদিকে বর্তমানে মুখ খুলেছেন খোদ সুপার। এদিকে এই প্রেক্ষাপটেই অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার পাঠানো নিয়ে কথা বলতে দেখা গেল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Kolkata mayor Firhad Hakim)।
এদিকে বোলপুর মহকুমা হাসাপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর দাবি, “আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিকাশ রায় চৌধরী। তিনি আমাকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসক পাঠাতে বলেছিলেন। উনি মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাই আমি আমার সহকর্মীর কাছে আবেদন করেছিলাম, গিয়ে দেখে আসার জন্য।” এদিকে সিউরির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী যে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ তা এলাকায় অনেকেরই জানা। এবার ডাক্তার বিতর্ক তাঁর নাম জড়াতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলে।
এ প্রসঙ্গে ফিরহাদের দাবি, “নির্দেশ কেউ দেয় না। অনুরোধ যে কেউ করতেই পারেন। অসুস্থ রয়েছেন কিনা তা দেখে চিকিৎসক পাঠানো তাঁদের কর্তব্য। এটা নিয়ে ইস্যু করছেন আপনারা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। যার কোনও মানে হয় না। আমি যদি জানতে পারি আমার কোনও কাছের লোক অসুস্থ রয়েছেন, তাঁর জন্য আমি কোনও চিকিৎসককে সেই অসুস্থ মানুষের কাছে যেতে বলতেই পারি। এর মধ্যে অন্যায় কী রয়েছে?” অন্যদিকে বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী যদিও বোলপুর মহকুমা হাসাপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুকে নির্দেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর সাফ দাবি, ‘আমি কোনও নির্দেশ দিতে পারি না। নির্দেশের কথা বললে উনি প্রমাণ দিন।’