ছন্দে ফিরছে মেট্রো! উঠে যাচ্ছে ই-পাস, বাড়ছে রেলের সংখ্যা

কবি সুভাষ ও দমদম থেকে এবার প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭ টায়। শেষ মেট্রো কবি সুভাষ ও দমদম ছাড়বে সাড়ে ৯ টায়। নোয়াপাড়া থেকে অবশ্য শেষ মেট্রো ছাড়বে ৯ টা ২৫ মিনিটে।

ছন্দে ফিরছে মেট্রো! উঠে যাচ্ছে ই-পাস, বাড়ছে রেলের সংখ্যা
কলকাতা: হাতে আর এক মাস সময়ও বাকি নেই। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব চলে এসেছে দুয়ারে। আগামী মাসে এই সময় পুজো থাকবে মধ্যগগণে। সেই কথা মাথায় রেখে এ বার এক ধাক্কায় মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2021 | 3:53 PM

কলকাতা: আস্তে আস্তে পুরনো ছন্দে ফিরছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। ১৮ জানুয়ারি থেকে ই-পাস উঠে যাওয়ার খবর এসেছিল আগেই। ওইদিন অর্থাৎ আগামী সোমবার থেকে বাড়ছে দৈনিক মেট্রোর সংখ্যা। ২২৮ টির পরিবর্তে এবার থেকে চলবে ২৪০ টি মেট্রো। কবি সুভাষ ও দমদম থেকে এবার প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭ টায়। শেষ মেট্রো কবি সুভাষ ও দমদম ছাড়বে সাড়ে ৯ টায়। নোয়াপাড়া থেকে অবশ্য শেষ মেট্রো ছাড়বে ৯ টা ২৫ মিনিটে।

লকডাউনের পর মেট্রো চালু হলে ই-পাসের ব্যবস্থা করেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে প্রত্যেক ঘণ্টার স্লট বুক করতে হত। স্লট বুক করলে ইলেকট্রনিক কিউআর জেনারেট হত। তবে তা স্ক্যান করার কোনও প্রযুক্তি ছিল না। চোখের দেখা দেখে যাত্রীদের মেট্রোয় ওঠার অনুমতি দিতেন রক্ষীরা। এরপর ধাপে ধাপে সেই ব্যবস্থা শিথিল করা হয়। যা ১৮ জানুয়ারি থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে খবর, লকডাউনের পর মেট্রো পরিষেবা শুরু করার সময় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ই-পাসের ব্যবহার শুরু করা হয়েছিল। যে সংস্থাকে ই-পাসের বরাত দেওয়া হয়েছিল তাদের সঙ্গে চুক্তির নির্ধারিত সময় ছিল ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেট্রো সূত্রে খবর, এই সময়সীমা আর বর্ধিত করা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: রাজনীতিতে অভিষেকের থেকে ‘অনভিজ্ঞ’ দিলীপ! কেন্দ্রকে তোপ দেগে সুর চড়ালেন সৌগত

১৬ জানুয়ারি শনিবার এবং ১৭ জানুয়ারি রবিবার হওয়ায় ওই দু’দিন কোনও ই-পাস লাগে না। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি থেকে আর ই-পাস ব্যবহার করার দরকার হবে না যাত্রীদের। তবে এখনই চালু হচ্ছে না টোকেন। আপাতত যাদের স্মার্ট কার্ড আছে, তারাই মেট্রোতে যাতায়াত করতে পারবেন। অর্থাৎ একদিকে যেমন ই-পাস উঠে যাচ্ছে তেমনই বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা। সব মিলিয়ে ছন্দে ফিরছে কলকাতার লাইফলাইন।