‘আগে এলে আগে পাবেন’, টিকাকরণে নতুন নিয়ম পুরসভার

Kolkata: সকাল দশটা থেকে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়া। একই সেন্টার থেকে দুটি দল পাওয়া যাচ্ছে বলে কেউ কেউ খুশি।

'আগে এলে আগে পাবেন', টিকাকরণে নতুন নিয়ম পুরসভার
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 10:01 AM

কলকাতা: কলকাতায় টিকাকরণে এল নতুন নিয়ম। এবার থেকে সব টিকাকেন্দ্রে মিলবে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ়। টিকা মিলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দুটি ডোজ়ই মিলবে। এবার থেকে ‘ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ’ নীতিতে চলবে টিকাকরণ।

পুরসভার নতুন নিয়মে মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরসভার ভ্যাকসিন সেন্টারগুলোতে চলছে ভ্যাক্সিনেশন। কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় এক সঙ্গেই দেওয়া হচ্ছে। ফলে ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারগুলোতে ভোর থেকেই লম্বা লাইন।

সকাল দশটা থেকে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়া। একই সেন্টার থেকে দুটি দল পাওয়া যাচ্ছে বলে কেউ কেউ খুশি। কেউ কেউ বলছেন দুটোর দজ এক সঙ্গে হওয়াতে লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছে তাঁদের। ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ এই নিয়মেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে জানিয়েছেন পুর আধিকারিক।

কলকাতার বিভিন্ন পুরসভার কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই চোখে পড়ছে লম্বা লাইন। পুরসভার এই নতুন নিয়ম অনেকের কাছেই অজানা। অনেকেই জানতে পারছে নতুন নিয়মের কথা। ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রূকুটি রয়েছে বাংলায়। তাই আগেভাগেই টিকাকরণে গতি আনতে চাইছেন আধিকারিকরা। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

খুশি সাধারণ মানুষ। হয়রানি কিছুটা কমবে বলেই আশাবাদী তাঁরা। এদিন বাচ্চা কোলে নিয়ে এক মহিলাকে টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল। তিনি বললেন, “এতে সুবিধাই হবে অনেকটা। আমরা কাল খোঁজ নিয়ে গিয়েছিলাম। ঝামেলা কিছুটা হলেও কমবে।” আরেক যুবকের কথায়, “আগে এলে, আগে টিকা- এই নীতিতে টিকাকরণে গতি আসবে, ঝামেলাও কমবে। লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে যে ঝামেলা তাও অনেকটা কমবে বলে মনে হচ্ছে।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তৃতীয় ঢেউ এলে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় রাজ্য কতখানি প্রস্তুত, তার সবিস্তার বিবৃতি দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

রাজ্যের জেলা স্তর পর্যন্ত হাসপাতালগুলিতে বেড ও সিসিইউ-এর পরিষেবা বাড়ানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৫৫০ টি সিসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৮৪টি পিআইসিইউ বেড, ২৭০টি এনআইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসিইউ, পিআইসিইউ, এনআইসিইউ- সব মিলিয়ে ২৩৪৮টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছেন বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞরাও। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ও জেনারেল ফিজিশিয়ানের একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শিশুদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে মূলত কী ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হবে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা ও এএনএম কর্মীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের টেলি কনসালটেশনের মাধ্যমে পরামর্শের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘এক্সিলেটর কন্ট্রোল মে…’, আত্মবিশ্বাস কাজে লাগল না যুবকের, মুখের বিভত্সতায় চিনতে পারাই দায়!