অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার নামে দিল্লির বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণা, জালে ৩

Fraud Case: গত মে মাসেও এররম একটি প্রতারণা চক্রের হদিশ মেলে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের (Oxygen Cylinder) জন্য তখন ত্রাহি ত্রাহি রব সর্বত্র।

অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার নামে দিল্লির বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণা, জালে ৩
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 1:26 PM

কলকাতা: অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার নাম করে দিল্লির বাসিন্দাদের সঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ। বাংলায় হদিশ এক প্রতারণা চক্রের। ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ সরশুনা থানা এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম সৌমেন মণ্ডল, শানু নন্দী, উত্পল ঘোষাল। শুক্রবারই তাঁদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। দিল্লি পুলিশ ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানাবে।

গত মে মাসেও এররম একটি প্রতারণা চক্রের হদিশ মেলে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের (Oxygen Cylinder) জন্য তখন ত্রাহি ত্রাহি রব সর্বত্র। সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল এমন প্রচুর নম্বর, যেখানে যোগাযোগ করলে অক্সিজেন মেলার আশ্বাস দেওয়া হত। তেমনি ভাবেই ওদের দেওয়া নম্বরও সামাজিক মাধ্যম থেকেই খুুঁজে পেয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত বেশ কয়েকটি রোগীর পরিবার। ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেছিলেন, অক্সিজেন পাওয়ার আশ্বাসে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন টাকাও।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেলেনি অক্সিজেন। অতঃপর মৃত্যু হয়েছে রোগীর। খোদ বাংলার বুকে বসে দিল্লির করোনা আক্রান্ত একাধিক রোগীর পরিবারের সদস্যদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছিল ওরা। শেষমেশ দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) জালে ধরা পড়েছিল বনগাঁর দুই মোবাইল দোকানের মালিক।

চক্রের পাণ্ডা মোবাইল দোকানের মালিক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সোমবার রাতে গোপালনগর থানা এলাকায় মোবাইল দোকানের ব্যবসায়ী পিন্টু পালকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইমের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ। অন্যদিকে বনগাঁ থানা এলাকা থেকে সৌরভ সাহা নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ফোন নম্বরগুলো দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হবে বলে টাকা নেওয়া হত, সেই ফোন নম্বরগুলো এই দুই দোকানদারের জেনারেট করত। ওয়েবসাইট করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ওরা। কারোর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা, কারোর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল ওরা।

দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে  তখনই পুলিশ মনে করেছিল। তবে ধৃত তিন জনের সঙ্গে এদের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে এমনিতেই অক্সিজেনের আকাল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওয়েবসাইট খুলে ফোন নম্বর দিয়ে এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ওরা।

তবে এই চক্র কীভাবে কাজ করত, তাদের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, এই চক্রের হাত কত দূর লম্বা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আপাতত দিল্লি পুলিশ তাদের নিজেদের রিমান্ডে নিয়ে জেরা করবে। দিল্লিরও কোনও ব্যক্তি এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে বাংলাতেও এই জাল অনেকটাই ছড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গতি আনতে জোন-ওয়াইস তদন্তে সিবিআই, আজ ‘স্পট ভিজিট’ নদিয়ায়