ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গতি আনতে জোন-ওয়াইস তদন্তে সিবিআই, আজ ‘স্পট ভিজিট’ নদিয়ায়

Post Poll Violence Case: পুলিশ এতদিনে কত জনকে গ্রেফতার করেছে, কাদের গ্রেফতার করতে পারেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গতি আনতে জোন-ওয়াইস তদন্তে সিবিআই, আজ 'স্পট ভিজিট' নদিয়ায়
সিবিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 12:10 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলার তদন্তে তত্পর সিবিআই। চার জোনেই ক্যাম্প করে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

একটি ক্যাম্প হবে দুর্গাপুরে। সেখান থেকে মূলত বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ কয়েকটি পশ্চিমের জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করা হবে। একটু ক্যাম্প হবে উত্তরবঙ্গের জন্য। সেই ক্যাম্প হবে কোচবিহারে। এই জেলা থেকে সব থেকে বেশি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এসেছে। কলকাতা থেকে ওত দূরে গিয়ে আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সময় সাপেক্ষ। সে কথা মাথায় রেখেই তদন্তকারীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাকি দুটি ক্যাম্প চলবে কলকাতাকে কেন্দ্র করে। কলকাতা সংলগ্ন কয়েকটি জেলার ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করবে এই দুটি ক্যাম্প। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ও উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। দ্বিতীয় সব থেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। দুর্গাপুর থেকে তদন্তকারীরা সেখানে গিয়ে হিংসা করবেন।

শুক্রবার নদিয়াতে গিয়েছে সিবিআই-এর একটি বিশেষ দল। ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয় নদিয়ার কোতোয়ালি থানা এলাকার বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছিল, তা ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, ১৪ জুন পলাশ মণ্ডলকে বাড়িতে গুলি করে বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দেওয়ালে বোমা ও গুলি চিহ্ন থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। গোটা বাড়ি ঘুরে দেখেন। পলাশের পরিবারের সদস্যরা ঘটনার বিবরণ দেন। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজনের নাম তদন্তকারীদের জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলের ছবিও তোলেন সিবিআই-এর ফটোগ্রাফাররা। ১৪ জনের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ফরেনসিক দলের সদস্যরা।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দিল্লিতে সিবিআই-এর সদর দফতরে ৯টি এফআইআর রুজু করা হয়েছে। অর্থাত্ ৯টি এফআইআর-এর ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করলেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয় তাঁদের ‘স্পট ভিজিট’।

পরপর দুই বৃহস্পতিবার অভিজিতের বাড়িতে যান সিবিআই-এর স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিমের ডিআইজি র্যাঙ্কের আধিকারিকরা। অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতের থেকে গোটা ঘটনার বিবরণ নেন তদন্তকারীরা। সেদিন ঠিক কখন হামলা হয়েছিল, কোন দিক থেকে হামলা চালানো হয়েছিল, কত জন ছিল, তা পূর্ণ বিবরণ নেওয়া হয়।

পুলিশ এতদিনে কত জনকে গ্রেফতার করেছে, কাদের গ্রেফতার করতে পারেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারীদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে অভিজিতের পরিবার। সোমবারই বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের দাদা বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই কর্তারা। দু’ঘণ্টার কথোপকথনে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন অফিসারের নাম তুলে ধরেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। যে সময় অভিজিত্কে পিটিয়ে মারা হচ্ছিল, সে সময়ের কিছু ভিডিয়ো ক্লিপিং তদন্তকারীদের দেখান বিশ্বজিত্। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার নামও সিবিআই-এর কাছে জানিয়েছেন বিশ্বজিত্।

প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় নিয়োগ করা হয়েছে সিবিআইয়ের ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসারকে। টিম বেড়ে হয়েছে ১০৯ জন। অর্থাত্ ১০৯ জনের স্পেশ্যাল টিম ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত সামলাবেন।

মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার। ধর্ষণ, খুন মামলার তদন্তভার হাতে রয়েছে সিবিআই-এর ‘ক্যাপ্টেন কুল’ অখিলেশ সিং-য়ের। আরও পড়ুন: ‘পিছন থেকে দৌঁড়ে এসেছিল ও, ছেলের মাথার বাঁ দিকটা খুবলে নিল…’ স্বামীর কাজে ভয়ে কাঁপছেন স্ত্রীও