আইএসএফ-র সমাবেশে ‘না’ পুলিশের, আইন কি শুধু বিরোধীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? উঠল প্রশ্নও

ISF Naushad Siddiqui: বুধবার রাত পর্যন্ত এই বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। যার পরই পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা শুরু করেছে আইএসএফ। 

আইএসএফ-র সমাবেশে 'না' পুলিশের, আইন কি শুধু বিরোধীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? উঠল প্রশ্নও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2021 | 12:20 AM

কলকাতা: কংগ্রেস বা বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে নয়। একক দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই ধর্মতলায় একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। কিন্তু বিধানসভায় একজন বিধায়ক থাকা এই দলের সমাবেশে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। পেট্রোপণ্য ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরোধিতার পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ দাবি তুলে বৃহস্পতিবার ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে একটি প্রতীকী বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্ত এই বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। যার পরই পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা শুরু করেছে আইএসএফ।

সূত্রের খবর, অতিমারি পরিস্থিতির কারণেই এই জমায়েত করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে বুধবারই একটি ইমেল মারফৎ তা জানিয়ে দিয়েছে লালবাজার। সেই ইমেলে বলা হয়েছে, কোভিড প্রোটোকল এবং সবরকমের বিধিনিষেধ পালন করতে হবে, সেই কারণেই এই অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জায়গা নয় বলেও জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। যদি এরপরও দেখা যায় যে কোনও ধরনের জমায়েত করার চেষ্টা হচ্ছে, তবে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে বিক্ষোভাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারিও।

কিন্তু পুলিশের এই আপত্তির পরই আরও বড় প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে আইএসএফ-র পক্ষ থেকে। সেকুলার ফ্রন্টের বক্তব্য, দিনদুয়েক আগেই এই একই ইস্যুতে অর্থাৎ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছিল তৃণমূল। তখন কেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ব্যবহার কি তবে কেবলমাত্র বিরোধীদের কণ্ঠরোধের জন্যই করা হবে? প্রশ্ন তোলা হচ্ছে আইএসএফ-র তরফে। আরও পড়ুন: একুশের মঞ্চ থেকে মমতার বক্তব্য শোনানো হবে উত্তর প্রদেশে! তোড়জোড় চলছে গুজরাটেও