আজও বিক্ষোভে শিক্ষকরা, অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক, ভাঙা হল ব্যারিকেড!

পুলিসি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষকরা। চলে পুলিসের সঙ্গে এক প্রস্থ ধস্তাধস্তি। পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ এলাকা। নিজেদের অবস্থানে অনড় শিক্ষকরা।

আজও বিক্ষোভে শিক্ষকরা, অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক, ভাঙা হল ব্যারিকেড!
ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শিক্ষকদের
Follow Us:
| Updated on: Jan 12, 2021 | 2:06 PM

কলকাতা: শিক্ষক সংগঠনগুলির নবান্ন অভিযানের অশান্তির রেশ আজও অব্যাহত। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাতভর ধর্নায় বসলেন শিক্ষকরা (Teachers Union Protest)। সকাল হতেই ডাক দিলেন অর্ধনগ্ন হয়ে মিছিলে হাঁটার। মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল শহিদ মিনার চত্বরে। পুলিসি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষকরা। চলে পুলিসের সঙ্গে এক প্রস্থ ধস্তাধস্তি। পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ এলাকা। নিজেদের অবস্থানে অনড় শিক্ষকরা।

বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। তাঁকে অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাধে ময়দান চত্বরে। পুলিসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে রাতভর ধরনায় বসেন শিক্ষকরা। আজ, মঙ্গলবার সকালে তাঁরা অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসি সাউথ সুধীরকুমার নীলকন্ঠম। শিক্ষকদের বুঝিয়ে সেই মিছিল রুখতে সক্ষম হন তিনি। তবে তারই ফাঁকে ঘটে বিপত্তি।

মঙ্গলবার যেন আরও কড়া নিরাপত্তা ছিল শহিদ মিনার চত্বরে। চর্তুদিক ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। উচ্চ পদস্থ পুলিস কর্তারা যখন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলছেন, তখনই বিক্ষোভরত শিক্ষকদের একাংশ প্রেস ক্লাবের দিকে তৈরি করা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদেরকে সামলাতে পুলিস যখন ব্যস্ত, তখন প্রতিরোধ গড়ে ওঠে মেয়ো রোডের দিকের ব্যারিকেডের সামনেও। একটি ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক।

বেশ কিছুক্ষণের জন্য এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিস তা নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সেখানেই বসে রয়েছেন বিক্ষোভকারী শিক্ষকরা। শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের সম্পাদক মইদুল ইসলাম বলেন, “আমরা কি চোর ডাকাত? আমাদের রুখতে এত ব্যারিকেড কেন? আমরা তো কোনও অন্যায় দাবি করছি না। আগামী দিনে আমাদের দাবি মানা না হলে এখানে সুইসাইডাল জোন তৈরি করব।”

আরও পড়ুন: ‘মনীষীদের নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিত’, বিবেকানন্দের জন্মদিনে বললেন দিলীপ

উল্লেখ্য এদিনের বিক্ষোভের সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন হাফিজুল রহমান নামে এক বিক্ষোভকারী শিক্ষক। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চ, শিক্ষাবন্ধু যৌথমঞ্চ, পার্শ্ব-শিক্ষক সংগঠন, এসএসকে এমএসকে শিক্ষক সংগঠন, বৃ্ত্তিমূলক শিক্ষক সংগঠন, কম্পিউটার শিক্ষকদের সংগঠন, মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠন- সহ ১৩টি সংগঠনের প্রতিনি‌ধিরা বেতন বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে এই আন্দোলনে নেমেছেন।