Bidhannagar: স্কুলের জমি দখল করে নির্মাণকাজ, প্রতিবাদে পথে প্রাক্তনীরা

Kolkata: স্থানীয় সূত্র মারফত খবর, ২০১০ সালে স্কুলের জমির একাংশ নিয়ে গড়ে উঠেছিল একটি নির্মাণ। কিন্তু সেই সময় আইনি সহায়তায় সেই নির্মাণকার্য বন্ধ হয়ে যায়।

Bidhannagar: স্কুলের জমি দখল করে নির্মাণকাজ, প্রতিবাদে পথে প্রাক্তনীরা
স্কুলের ভবন দখল করে বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2021 | 8:31 AM

কলকাতা: বিধাননগর (Bidhannagar) পৌরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষ্ণপুর যদুনাথ হাইস্কুলের জমি দখল করে নেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামলেন ওই স্কুলের প্রাক্তনীরা।

স্থানীয় সূত্র মারফত খবর, ২০১০ সালে স্কুলের জমির একাংশ নিয়ে গড়ে উঠেছিল একটি নির্মাণ। কিন্তু সেই সময় আইনি সহায়তায় সেই নির্মাণকার্য বন্ধ হয়ে যায়। ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, তারপরে হঠাৎ করে মাসখানেক আগে থেকে পুনরায় নির্মাণকার্য চালু হওয়ায় যদুনাথ মাধব চন্দ্র হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিবাদে পথে নামে। যদিও করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কোন রকম বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পূর্বতন যদুনাথ মাধব চন্দ্র হাইস্কুলের ভগ্নপ্রায় অবস্থা সুযোগ নিয়ে জমিতে এই অবৈধ নির্মাণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা, বর্তমানে ওই স্কুলের পঠনপাঠন পূর্বতন স্কুলের কাছেই নতুন ভবনে হচ্ছে। তবুও একশ্রেণির অসাধু প্রোমোটার শুধুমাত্র স্কুলের জমি নয় রাস্তার অধিকাংশই নিয়েই এই নির্মাণকার্য চালাচ্ছে। জেলা পরিষদের রাস্তা তাতে সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাতে জনস্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে।

একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়াই বিগত দিনে নির্মাণকার্য বন্ধ ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। পুনরায় বর্তমানে সেই নির্মাণকার্য চালু হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন, যে কোনও মূল্যে বিদ্যালয়ের জমি পুনরুদ্ধার করা একমাত্র লক্ষ্য প্রাক্তনীদের।

স্কুলের এক প্রাক্তনী সুমিতা সাহা বলেন, “এই বিল্ডিংটা হচ্ছে কেন? যে প্রমোটিং হয় ব্যক্তিগত স্বার্থে। যে কোনও মানুষ জমি কিনে তা ব্যবসায়ীক স্বার্থে কাজে লাগাতেই পারে। তাতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু আমাদের স্কুলটার হাফ কাটার মতো জমি এর মধ্যে ঢুকে রয়েছে। কেষ্টপুর মেইন রোডের অনেকটা এই বিল্ডিংয়ের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। ২০০৮ সালেও আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন বিল্ডিং আটকে দিই। ২০১১ সাল থেকে এই বিল্ডিংয়ের কোনও অগ্রগতি হইনি। এই নির্বাচনের পর থেকে ফের বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু হয়।”

অন্য আরেক প্রাক্তনী রাজীব দাস বলেন, “স্কুলের হাফ কাটা জমি এই বিল্ডিংয়ের মধ্যে রয়েছে। জেলা পরিষদের রাস্তাও এর মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। আমরা বাড়ি ভাঙতে বলছি না। জমি মাপা হোক। যদি স্কুলের জমির অংশ এর মধ্য ঢুকে যায়, তাহলে তা স্কুলেরই স্বার্থে ব্যবহার করা হোক। আমরা বেআইনি কথা বলছি না। এত বছর নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। আমি এর আগেও চিঠি করেছিলাম। তবে মাঝে যিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি একটু সিপিএম ঘেঁষা মানসিকতার ছিলেন। সেভাবে সাহায্য করেননি। তবে পরে আমার চিঠি গৃহীত হয়।” যদিও এ ব্যাপারে প্রমোটারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: Kolkata: এক প্রান্তে পড়ে রইল দেহ, উল্টো ফুটে ছিটকে গেল যুবকের মাথা! চতুর্থীর রাতে চিংড়িহাটায় ভয়ানক ঘটনা

আরও পড়ুন: Kolkata: আহিরীটোলার পর জোড়াসাঁকো! পুজোর মুখে পুরনো বাড়ির ব্যালকনি ভেঙে মৃত ২