Kunal Ghosh: ‘উপরতলার অনুরোধেও নিয়োগ করতে হয়’, কুণালের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
Recruitment: কুণাল বলেছেন, “উপরতলার অনুরোধে অনেক সময় নিয়োগ করতে হয়। বেশি ঘাটলে অনেক কিছু বের হবে।”
কলকাতা: রাজ্যে একের পর চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এসএসসি গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি হোক বা প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ। অধিকাংশ দুর্নীতিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অনেক ক্ষেত্রেই নিয়োগের অস্বচ্ছতার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে রাজ্য সরকার। তার পর থেকেই তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের বদান্য়তায় চাকরি পাওয়ার অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবাররে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। সেই প্রশ্নের জবাবে কুণাল সাফ জানিয়েছেন, নিয়োগের ব্যাপারে শাসকদল তৃণমূলকে কেন্দ্র করে যে আক্রমণ চলছে তা যথাযথ নয়। এই আক্রমণকে তাঁর ভাষায় দুর্ভাগ্যজনক। সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময়ই, কুণাল বলেছেন, “উপরতলার অনুরোধে অনেক সময় নিয়োগ করতে হয়।” তৃণমূল মুখপাত্রের এই মন্তব্য ঘিরেই ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এ ব্যাপারে কুণাল বলেছেন, “উপরতলার অনুরোধে অনেক সময় নিয়োগ করতে হয়। বেশি ঘাটলে অনেক কিছু বের হবে।” এই ‘উপরতলার অনুরোধে নিয়োগ’ বলতে কুণাল ঠিক কী বলতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করলে আদালত অবমাননার প্রসঙ্গ তুলে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর এই মন্তব্য জল্পনা বিন্দুমাত্র কমেনি। উপরতলা বলতে কুণাল কী বলতে চাইলেন? তাঁর দলেরই প্রভাবশালীদের দিকে আঙুল তুললেন? না বিরোধীদের দলের নেতাদের বোঝাতে চাইলেন? না সমাজের উচুস্তরে আসীন, ক্ষমতার সঙ্গে যাঁদের নৈকট্য রয়েছে, তাঁদেরকে বোঝাতে চাইলেন? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
তবে নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে তৃণমূলকে বিরোধীদের আক্রমণ যথার্থ নয় বলে জানিয়েছেন কুণাল। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বাম জমানা ও ত্রিপুরায় শিক্ষকদের চাকরি হারানোর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে তাঁর কথায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের দিকেও দেখতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বামনেতার মেয়েদের চাকরির প্রসঙ্গও তুলেছেন। তবে কুণালের এই বক্তব্য নিয়ে টিভি৯ বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “কুণালের মন্তব্যের কোনও জবাব আমি দিতে যাব না।”