৬ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে ছত্রধর মাহাতো

এনআইএ-এর (NIA) তরফে বক্তব্য, ২০০৯ সালে ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনার পর যারা গ্রেফতার হয়, তারা ছত্রধরের নাম বলেছিল।

৬ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে ছত্রধর মাহাতো
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 30, 2021 | 4:59 PM

কলকাতা: রাজধানী-মামলায় এনআইএ (NIA) হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল ছত্রধর মাহাতোর। গত রবিবার লালগড় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ৪০ জনের একটি দল। ছুটির দিন থাকায় সেদিন বন্ধ ছিল এনআইএ-এর স্পেশাল কোর্ট। তাই ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার তাঁকে এনআইএ স্পেশাল আদালতে তোলা হলে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর। তখন ছত্রধর জেলে। ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর অভিযোগে ছত্রধরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলারই পুনর্তদন্ত চেয়ে আদালতে গিয়েছিল এনআইএ। আদালত এনআইএ-কে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলায় গত রবিবার গ্রেফতার করা হয় জঙ্গলমহলের এই তৃণমূল নেতাকে।

একইসঙ্গে ছত্রধরের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রয়েছে। ২০০৯ সালে লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনে ছত্রধর-সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা হয়। ২০১০ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন ছত্রধর। এরপর জামিনে মুক্তি পান।

এনআইএ সূত্রে খবর, রাজধানী-মামলায় ছত্রধর মাহাতো ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি আরও কিছু তথ্য নথি হাতে উঠে আসে তদন্তকারীদের। এরপরই গত ২৮ মার্চ অর্থাৎ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটের পরদিনই ভোররাতে তাঁকে লালগড়ের বাড়ি থেকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে তুলে আনা হয় বলে অভিযোগ করে ছত্রধরের পরিবার। ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর দাবি, ছত্রধরের গ্রেফতারির পিছনে শুভেন্দু অধিকারীর হাত রয়েছে।

আরও পড়ুন: বুদ্ধবাবুর কন্ঠস্বর, নন্দীগ্রামে ভোটের আগে কী বললেন ‘কমরেড’!

এনআইএ-এর তরফে বক্তব্য, ২০০৯ সালে ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনার পর যারা গ্রেফতার হয়, তারা ছত্রধরের নাম বলেছিল। তাই বারবার ছত্রধরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছিল। কিন্তু উনি আসছিলেন না। সেই কারণেই তাঁকে হেফাজতে চাওয়া হয়। আদালত তাতে সম্মতি দিয়েছে।

অন্যদিকে ছত্রধর মাহাতোর আইজীবী কৌশিক সিনহার দাবি, “ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার পুরোপুরি রাজনৈতিক। এই মুহূর্তে সকলেই ছত্রধর মাহাতোর অবস্থান জানেন। সেই কারণেই ভোটের আগে তাঁকে নিয়ে এনআইএ এভাবে গ্রেফতার করল।”