Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tangra: ‘এটা হারামের টাকা নয়, কষ্ট করে ফ্ল্যাট কিনেছি’, ট্যাংরায় বহুতল ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পুরকর্মীরা

Tangra: এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা বলেন, "বাসিন্দাদের বুঝতে হবে এই বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। পাশের বাড়িতেও প্রভাব পড়বে। প্রাণহানি হোক আমরা কেউ চায় না। মানুষকে বাঁচাতে হবে। যা পদক্ষেপ করা হচ্ছে সবটাই তাঁদের সুরক্ষার জন্য।"

Tangra: 'এটা হারামের টাকা নয়, কষ্ট করে ফ্ল্যাট কিনেছি', ট্যাংরায় বহুতল ভাঙতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পুরকর্মীরা
ট্যাংরা বিক্ষোভImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2025 | 4:15 PM

কলকাতা: ট্যাংরায় হেলে পড়া বাড়ি ভাঙতে যেতেই বিক্ষোভের মুখে পৌরকর্মীরা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এখানকার বেশির ভাগ বাড়ি বেআইনি। লক্ষাধিক টাকা দিয়ে প্রোমোটারের উপর আস্থা রেখে ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রোমোটার যদি এখন বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাহলে তাঁরা যাবেন কোথায়? এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন পুলিশ কর্মীরা।

কয়েকদিন আগে ক্রিস্টোফার রোডে বহুতলটি হেলে পড়ে। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এরপর ট্যাংরার সেই বাড়িটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরনিগম। মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরনিগমের বৈঠকে শিলমোহর দেন। প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, হেলে পড়া বাড়িটির উপরের অংশ শুধু ভেঙে ফেলা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, গোটা বহুতলই ভেঙে ফেলা হবে। এরপরই সেই বাড়ি ভাঙতে যান পুর কর্মীরা। তখনই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

হেলে যাওয়া ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এতদিন কোথায় ছিল? কোনও নোটিস দেয়নি। রাতারাতি চলে এসেছে ভাঙতে। আমার জমি গেল-ফ্ল্যাট গেল সব গেল। কোথায় যাব আমরা?” আরও এক মহিলা বলেন, “আমাদের আগে কেন বলেনি বাড়ি ভাঙা হবে? এত টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। এটা কষ্টের টাকা। হারামের টাকা নয়। পুনর্বাসন দিক। খাটুনির টাকা এটা। জানলাম না, শুনলাম না ভাঙতে চলে এল?”

এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা বলেন, “বাসিন্দাদের বুঝতে হবে এই বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। পাশের বাড়িতেও প্রভাব পড়বে। প্রাণহানি হোক আমরা কেউ চায় না। মানুষকে বাঁচাতে হবে। যা পদক্ষেপ করা হচ্ছে সবটাই তাঁদের সুরক্ষার জন্য।”