CPIM: পাঁচ আসন ‘পাখির চোখ’ করে এগোচ্ছে সিপিএম, লাল ঝড় উঠবে প্রচারে

CPIM: ইতিমধ্যেই পাঁচ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে সিপিআইএম। সূত্রের খবর, প্রচারে অগ্রাধিকার পাবে এই পাঁচ আসন। দলের তারকা প্রচারকরা বারবার ছুটে যাবেন এই পাঁচ কেন্দ্রে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার তুঙ্গে তোলা হবে এই পাঁচ কেন্দ্রের জন্য। বাম মনোভাবাপন্ন বিশিষ্টজনরা এইসব কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন।

CPIM: পাঁচ আসন 'পাখির চোখ' করে এগোচ্ছে সিপিএম, লাল ঝড় উঠবে প্রচারে
মহম্মদ সেলিম Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2024 | 1:23 PM

কলকাতা: পাঁচ আসন টার্গেট করে ভোটের ময়দানে সিপিআইএম। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, দমদম, যাদবপুর, পূর্ব বর্ধমানকে পাখির চোখ করে প্রচার জমাতে চলেছে সিপিএম। ইতিমধ্যেই এই পাঁচ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তারা। মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিম, কৃষ্ণনগরে এসএম সাদি, দমদমে সুজন চক্রবর্তী, যাদবপুরে সৃজন ভট্টাচার্য এবং পূর্ব বর্ধমানে নীরব খাঁ সিপিএমের প্রার্থী।

ইতিমধ্যেই পাঁচ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে সিপিআইএম। সূত্রের খবর, প্রচারে অগ্রাধিকার পাবে এই পাঁচ আসন। দলের তারকা প্রচারকরা বারবার ছুটে যাবেন এই পাঁচ কেন্দ্রে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার তুঙ্গে তোলা হবে এই পাঁচ কেন্দ্রের জন্য। বাম মনোভাবাপন্ন বিশিষ্টজনরা এইসব কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন। এই কেন্দ্রগুলিতে বিশিষ্টজন এবং তারকা প্রচারকরা মানুষের দুয়ারে যাবেন দলের প্রার্থীদের সমর্থনে।

কী কী নজরে রেখে বাছাই হল এই পাঁচ কেন্দ্র? একুশের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি, পঞ্চায়েত ভোট, ভোট বৃদ্ধি, গত তিন বছরে এই পাঁচ কেন্দ্রে দলের সংগঠনের কাঠামোগত অবস্থা। এবং অবশ্যই পাঁচ কেন্দ্রে কর্মী সমর্থকদের লড়াইয়ের মানসিকতা।

এ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী অবশ্য বলছেন, “পাঁচ কেন, সাত, আট, দশ, বারো নয় সেটা কে ঠিক করল? আমি পর পর নাম বলে দিতে পারি। নাম বললে কোনটা বাদ চলে যাবে, তাই বলছি না। তবে আরও অনেক বেশি আসন আসবে। মানুষ শুধু অপেক্ষায় আছে।”

অন্যদিকে জোটের জটকে মাথায় নিয়েই আজ শুক্রবার বৈঠকে বসছে বামফ্রন্ট। একইসঙ্গে বামফ্রন্টের চতুর্থ দফার তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনাও জোরাল হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি তিনটি করে আসনে লড়ত। কিন্তু সিপিআইএম চাইছে এবার সিপিআই তিনটি আসনে লড়লেও আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক দু’টি আসনে লড়াই করুক।

তবে ঘাটাল আসনটি সিপিআই ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে সিপিআইএমের জন্য। পরিবর্তে অন্য একটি আসন সিপিআইকে দেওয়া যায় কি না ভাবছে সিপিআইএম। আবার আইএসএফের জন্যও এখনও দরজা খোলা আছে। যদিও সেই দরজা দীর্ঘ সময় খোলা রাখা সম্ভব নয় বলেও খবর।

আইএসএফ বলছে, তাদেরও কিছু দাবি আছে। তা পূরণ করলে আসন বোঝাপড়া করতে আপত্তি নেই তাদেরও। আবার কংগ্রেসের এখনও সব আসন মীমাংসা হয়নি। অর্থাৎ এখনও আসন সমঝোতার দড়ি টানাটানি অব্যাহত।