Madrasa Recruitment Case: মাদ্রাসাতেও নিয়োগ জট! ১২ বছর পরও পরীক্ষা দিতে পারেননি ৭৪ হাজারের বেশি প্রার্থী
Madrasa Recruitment Case: ২০১১ সালে মাদ্রাসায় গ্ৰুপ-ডি কর্মী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাদ্রাসা কমিশন। সেই নিয়োগের পরীক্ষা এখনও বাকি।
কলকাতা: বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১২ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি মাদ্রাসায় (Madrasa)। শুধু তাই নয়, বছর কয়েক আগে পরীক্ষা নেওয়ার সময়ও বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তা সত্ত্বেও এখনও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বঞ্চিত পরীক্ষার্থীরা। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। তবে যেহেতু এর আগে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি সম্পূর্ণ হয়নি।
২০১১ সালে মাদ্রাসায় গ্ৰুপ-ডি কর্মী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাদ্রাসা কমিশন। প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে হওয়ার কথা ছিল। প্রথম ধাপ অর্থাৎ ‘প্রিলিমস’ পরীক্ষা যাঁরা উত্তীর্ণ হন, তাঁদের সবাইয়ের মূল পরীক্ষা বা ‘মেনস’ লিখিত পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁদেরকে বঞ্চিত করেই ইন্টারভিউ নেওয়া হয় বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা।
দীর্ঘ শুনানির পর ওই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, লিখিত পরীক্ষা থেকে যাঁদের বঞ্চনা করা হয়েছে, তাঁদের তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে। পরে মাদ্রাসা বোর্ড ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। ২০১৮ সালে বিচারপতি ট্যান্ডন এবং বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ৬ মাসের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এত বছরেও সেই নির্দেশ পালন হয়নি। অর্থাৎ ওই পরীক্ষা এখনও নেওয়া হয়নি।
এখন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন খতিয়ে দেখেছে, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে গেলে প্রায় ৭৪ হাজারের বেশি প্রার্থীর পরীক্ষা নিতে হবে। সংখ্যাটা প্রায় ৭৪৬১৯। এটা করতে গেলে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের আগের নির্দেশেও একটি অংশ পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে মাদ্রাসা কমিশন। এ নিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় কমিশন। কিন্তু এই মামলায় যেহেতু অন্য ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল তাই মামলাটি বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি সম্পূর্ণ হয়নি।
মামলাকারীদের বক্তব্য, নতুন বেঞ্চ গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মামলকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, বিচারপতি ট্যান্ডন এবং বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পুনরায় মামলাটি যাওয়ার কথা।