TMC: বিক্ষোভ-আন্দোলন এখন অতীত, তৃণমূলে ঢোকার পর বড় প্রাপ্তি শিক্ষক নেতা মইদুলের

Maidul Islam: বড় প্রাপ্তি মইদুল ইসলামের। এবার রাজ্যের গড়ে দেওয়া ক্রীড়া পরিষদের আহ্বায়ক ও সহ সভাপতি হলেন মইদুল ইসলাম। গত ৩০ ডিসেম্বরই এই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

TMC: বিক্ষোভ-আন্দোলন এখন অতীত, তৃণমূলে ঢোকার পর বড় প্রাপ্তি শিক্ষক নেতা মইদুলের
তৃণমূলে যোগদান মইদুলের, পাশে ব্রাত্য বসু (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2023 | 8:36 PM

কলকাতা: অতীতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন করেছেন। কিন্তু সেসব এখন অতীত। কথা হচ্ছে শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামকে (Maidul Islam) নিয়ে। এখন তিনি তৃণমূল (Trinamool Congress) পরিবারেরই একজন। ২০২১ সালের নভেম্বরে বিষপানকারী পাঁচ শিক্ষিকাকে নিয়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্বয়ং তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। শিক্ষিকাদের বিষপান হোক বা মইদুলদের তৃণমূলে যোগ, কোনও দৃশ্যই এখনও আবছা হয়ে যায়নি মানুষের মন থেকে। আর মধ্যে বড় প্রাপ্তি মইদুল ইসলামের। এবার রাজ্যের গড়ে দেওয়া ক্রীড়া পরিষদের আহ্বায়ক ও সহ সভাপতি হলেন মইদুল ইসলাম। গত ৩০ ডিসেম্বরই এই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে বেশ আপ্লুত মইদুলও। তিনি জানাচ্ছেন, “এত বড় দায়িত্ব দেওয়ায়  শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসু ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি আমি যথাযথ দায়িত্ব পালন করব। আমি রাজ্য সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় আগামীদিনে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীদের ক্রীড়ানৈপুণ্য়ে বাংলা তথা ভারতের নাম বিশ্বমঞ্চে আলোকিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” মইদুলের এই নতুন দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতির সঙ্গেও। তিনিও বলেন, “মইদুল যদি এই ক্রীড়া পরিষদের জন্য আর্থিক ব্যবস্থা করতে পারে, যদি শিক্ষা দফতরের থেকে অর্থসংস্থান করে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে, তাহলে তাঁর প্রতি আমাদের শুভকামনাই থাকবে।”

যদিও মইদুলকে ক্রীড়া পরিষদের আহ্বায়ক ও সহ সভাপতি করা নিয়ে বাঁকা খোঁচা দিতে ছাড়েননি বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে যোগাযোগ করা হলে স্বপনবাবু বলেন, “যে সরকার ওর নামে একাধিক মামলা দিয়েছে, একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে, সেখানে সেই সরকারের স্বচ্ছভাবমূর্তি সম্পন্ন শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে পদে আনছেন। শিক্ষা দফতর যে দুর্নীতিগ্রস্ত, এর থেকে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে।”