কীভাবে মমতার পায়ে চোট? জল গড়াল সর্বোচ্চ আদালতে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের চোট লাগা (Mamata Banerjee Injured In Nandigram) নিয়ে বিতর্ক গড়াল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)।

কীভাবে মমতার পায়ে চোট? জল গড়াল সর্বোচ্চ আদালতে
ঘটনার দিনের ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 09, 2021 | 10:53 AM

নয়া দিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের চোট লাগা (Mamata Banerjee Injured In Nandigram) নিয়ে বিতর্ক গড়াল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে করা হল মামলা। নন্দীগ্রামে ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন- এই আর্জি জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন তিন আইনজীবী। শুভম আবস্তি, আকাশ শর্মা, সপ্তর্ষি মিশ্র নামে তিন আইনজীবী এই মর্মে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দাবি করে আসছেন যে নন্দীগ্রামে তাঁর ওপর হামলা হয়েছিল, তার আদৌ সত্যতা কতটুকু, তার জন্য সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা। শীর্ষ আদালতে এই মামলায় কমিশন, বাংলার রাজ্য সরকার, সিবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারকে পক্ষ বানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার পরমুহূর্ত থেকেই নেত্রী অভিযোগ করেছেন, পূর্ব পরিকল্পনা করে চার-পাঁচ জন এসে তাঁর গাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। তাতেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

মমতা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনে গিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজিপি নীরজনয়ন। রিপোর্ট জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনেও। কিন্তু কমিশন প্রথম রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয় না। ঠিক কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লেগেছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা চেয়ে ফের রিপোর্ট তলব করে কমিশন।

মার্চ মাসে দুবারের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর কোনও হামলা হয়নি। ভিডিয়ো ফুটেজ, স্থানীয় পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি হয়। তাতে পর্যবেক্ষকদের মতামতকেই সিলমোহর দেয় কমিশন। বাংলার নিযুক্ত পর্যবেক্ষক ও মুখ্যসচিবের রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিশন স্পষ্ট করে, নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া গ্রামে মমতার পায়ে লাগা নেহাত একটি দুর্ঘটনা ছিল। কোনও হামলা হয়নি।

আরও পড়ুন: করোনাকালে বড় ঘোষণা নবান্নের! সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশের বেশি হাজিরা নয়!

তবে কমিশনের তরফে এও জানানো হয় নিরাপত্তারক্ষীদের গলদের জেরেই আঘাত পেয়েছিলেন মমতা। এই ঘটনায় ডিএম-এসপি বিবেক সহায়কে অপসারিত করে কমিশন। রাজ্যকে লেখা কড়া ভাষায় চিঠি কমিশন উল্লেখ করে তার ব্যাখ্যাও। কমিশনের বক্তব্য, “মুখমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিবেক সহায়। নিরাপত্তা অধিকর্তা-সহ ডিএম, এসপি ব্যর্থ। নন্দীগ্রামের মুখ্য়মন্ত্রীর সূচি জানতেন না বিবেক সহায়। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি জানতেন না ডিএম-এসপি। ব্যবহার করা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর বুলেটপ্রুফ গাড়িও।” যদিও কমিশনের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেন মমতা। তারপরও বিভিন্ন সভা খেকে ‘হামলা’র অভিযোগ করে চলেছেন নেত্রী। তার ভিত্তিতেই এবার এই ইস্যু গড়াল শীর্ষ আদালতে।