‘প্রধানমন্ত্রীর মাথা থেকে আবিষ্কার হয়েছে কোভ্যাক্সিন’, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান মমতা
কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানায় নেন তিনি। একই সঙ্গে বিজেপি কটাক্ষ করে বলেন, 'বিজেপি সবার জন্য এখন একটা বড় রোগ।'
কলকাতা: দেশে টিকাকরণের শ্লথ গতি নিয়ে আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানায় নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী দাবি, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ২ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে ৩ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি। যদিও যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসছে তাতে জুলাই মাসের মধ্যেই আরও ৭০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানায় নেন তিনি। কটাক্ষের সুরে বলেন, কোভ্যাক্সিন প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত।
অ-বিজেপি দলগুলি টিকাকরণ নিয়ে রাজনীতি করছে। সম্প্রতি বিরোধী দলগুলিকে বিঁধে এমনই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পালটা দিয়ে বুধবার মমতা বলেন, “ওঁ কি বাস্তবের সঙ্গে ওয়াকিবহাল? ওঁদের ব্যর্থতার জন্যই দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়েছে। শুধুই পশ্চিমবঙ্গ ভোটে বিজেপি মন দিয়েছিল। প্রস্তুতি নেওয়ারও সময় দেওয়া হয়নি। বিরোধীরা কেন রোগ নিয়ে খেলতে যাবে! আমার তো মনে হয় বিজেপি সবার জন্য একটা বড় রোগ। আসলে ওরা হারটা হজম করতে পারছে না।”
আরও পড়ুন: ‘শিলিগুড়ি হবে রাজধানী… আপনি দক্ষিণবঙ্গ সামলান, উত্তরবঙ্গ আমরা সামলে নেব’
কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে কোনও সমস্য না থাকলেও কোভ্যাক্সিন নিলে তা এখনও বিদেশ যাত্রার জন্য স্বীকৃত হচ্ছে না। তাহলে যারা ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন তাঁরা যদি বিদেশ যেতে চান সেক্ষেত্রে করণীয় কী, বুধবার এই গুরুতর প্রশ্নটি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কোভ্যাক্সিন এখনও হু স্বীকৃত নয়, ফলে বিদেশে এটাকে গৃহীত হচ্ছে না। যে পড়ুয়ারা বিদেশ যেতে চায়, তারা কী করবে? অনেকেই বিপাকে পড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মাথা থেকে আবিষ্কার হয়েছে কোভ্যাক্সিন। এটাকে দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে সরকারের কোনও একটা উদ্যোগ অবিলম্বে গ্রহণ করা উচিত।”
উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই স্বদেশি এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সম্প্রতি কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্টও জমা পড়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার বোর্ডে। যেখানে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার ৭৭ শতাংশের বেশি বলে উল্লেখ করেছে ভারত বায়োটেক।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন এসেছিল বাগড়ি মার্কেট থেকে, দাবি ‘অস্কারে মনোনীত’ দেবাঞ্জনের