Vande Bharat Express: শীঘ্রই রাজ্যে আসছে আরও বন্দেভারত, কোন কোন রুটে চালানোর পরিকল্পনা?
Vande Bharat: হাওড়া-পুরী রুটে, যার রেক ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছে গিয়েছে সাঁতরাগাছি স্টেশনের ইয়ার্ডে। এই মাসেই হয়ে যাবে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান। এর পাশাপাশি হাওড়া-রাঁচি, হাওড়া-বারাণসী এবং হাওড়া-পাটনা রুটেও সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর জন্য প্রস্তাবে কার্যত সম্মতি মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: বর্তমানে হাওড়া স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চলছে। আগামী দেড় দু-বছরের মধ্যে রাজ্য আরও চারটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একটি হাওড়া-পুরী রুটে, যার রেক ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছে গিয়েছে সাঁতরাগাছি স্টেশনের ইয়ার্ডে। এই মাসেই হয়ে যাবে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান। এর পাশাপাশি হাওড়া-রাঁচি, হাওড়া-বারাণসী এবং হাওড়া-পাটনা রুটেও সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর জন্য প্রস্তাবে কার্যত সম্মতি মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও কবে থেকে এই রুটগুলিতে বন্দে ভারত ছুটবে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
বর্তমানে হাওড়া- নিউ জলপাইগুড়ি রুটে যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি চলছে, তার গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার উঠছে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুন অরোরা। এর কারণও জানিয়েছেন তিনি। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের ব্যাখ্যা, যে রুটে ট্রেনটি চলছে, সেটির মাটির প্রকৃতি হল একটি অন্যতম বড় সমস্যা। হাই স্পিড ট্রেনের সহায়তাকারী রেল ট্র্যাক বসানোর জন্য যে ধরনের মাটি দরকার, তা না থাকায় গতি থমকে যাচ্ছে। হাওড়া থেকে এনজিপি যাওয়ার মাঝে গতি কোথাও ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, কোথাও আবার ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থাকছে। কিন্তু বাকিটা সময় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা থাকছে।
শুধু যে মাটির প্রকৃতি বাধা, তা নয়। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সম্প্রতি এও নির্দিষ্ট করে জানিয়েছেন, লাইনে দু’ধারে জবরদখল এবং পাঁচিল তৈরি করতে সমস্যা বন্দে ভারতের গতি সর্বোচ্চ সীমায় নিয়ে যাওয়ার পথে অন্যতম বাধা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে বারবার কথা হয়েছে। জবরদখল বেশ কয়েকটা জায়গায় আরপিএফ দ্বারা তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই বড় রুটে সমস্যা এখনও রয়েছে, যা স্বীকার করতে দ্বিমত পোষণ করেননি পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।
শুধু এখানেই শেষ নয়, হাওড়া থেকে দিল্লি পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা আরও ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূলত, রাজধানী রুটে এই হাই স্পিড ট্রেন চালানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখানেও সমস্যা তৈরি হয়েছে জবরদখল এবং লাইনের দু’ধারে পাঁচিল না করতে পারা। জবর দখল সমস্যা এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে সিদ্ধান্ত নিয়েও এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হচ্ছে না। রেলে তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে এই জবরদখলগুলি তুলে দেওয়ার। এই রাজ্যের সরকারের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক চলছে।