Municipality Election In COVID Situation: বাইশ তারিখেই ভোট! রোড শো-পদযাত্রা নয়, ভোটের গাইডলাইনে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা

Municipality Election In COVID Situation: স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে করণীয় বেশ কিছু বিষয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে। 

Municipality Election In COVID Situation: বাইশ তারিখেই ভোট! রোড শো-পদযাত্রা নয়, ভোটের গাইডলাইনে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা
ভোটের গাইডলাইন জারি কমিশনের (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 5:36 PM

কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতিতে কড়া কমিশন। ২২ জানুয়ারি চার পুরসভার ভোট। কোভিড বিধি মেনে ভোটের গাইডলাইন প্রকাশ করল কমিশন। তাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে করণীয় বেশ কিছু বিষয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে।

পুরভোটের গাইডলাইন

♦ কোন রোড শো কিংবা পদযাত্রা নয়। গত পুরসভায় ৪টে পর্যন্ত রোড শো ছিল। এবার গাড়ি, বাইক র‍্যালি সব বাদ। এক্ষেত্রে আগে অনুমতি নেওয়া থাকলেও রোড শো বাতিল করতে হবে। ♦  প্রতি পুরসভায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করা হবে। ♦  প্রার্থী, কাউন্টিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার- সকলেরই ডবল বা সিঙ্গল ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। বাড়িতে প্রচারে প্রার্থী-সহ পাঁচের বেশি অনুমতি নেই। ♦  খোলা মাঠে মিটিং ৫০০-র বেশি জনসমাগম নয়। প্রবেশ ও প্রস্থানের আলাদা গেট। ♦  অডিটোরিয়াম হলে ২০০ জন সর্বাধিক। কিংবা আসন সংখ্যার অর্ধেক অনুমতি পাবেন। ♦  প্রচারের সময় কমানো হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার। ♦  সাইলেন্স জোন বাড়িয়ে হচ্ছে ৭২ ঘণ্টা।

বিধিনিষেধের মধ্যে পুরভোটের প্রচার কীভাবে হবে? তা নিয়ে সচেতন ছিলেন বিশ্লেষকরা। ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর আসানসোল ও চন্দননগর পুরসভায় ভোট। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোটের প্রচার চলবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। কারণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই রাজ্যে বাড়ছে ভোটের উত্তাপ।  চার কর্পোরেশনের ভোট প্রচারেই দেখা যাচ্ছে কোভিড বিধি ভঙ্গের অভিযোগ।

দেখা গিয়েছে, কোথাও মাস্ক ছাড়াই প্রচারে বেরিয়েছেন প্রার্থী। পদযাত্রায় দূরত্ব বিধি উঠেছে শিকেয়। দেখা গিয়েছে , যে কোনও দলের কর্মীদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। শিলিগুড়ি, আসানসোল-সর্বত্রই একই ছবি।

এদিকে, বড়দিন থেকে বর্ষবরণ- কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়  হুল্লোড়ের মাসুল আপাতত গুনছে রাজ্য । দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু হাজার ছাপিয়েছে। উৎসবের রেশের মাঝেই আবার ভোট! ফলে চিন্তা বাড়াচ্ছে আরও। বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে আমজনতা, সকলেরই ক্ষোভ রাজনৈতিক নেতাদের ওপরেই। কেন তাঁরা এই পরিস্থিতিতে ভোট-ভোট করছেন? প্রশ্ন করছেন সকলেই। এই পরিস্থিতিতে ভোট করাটা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? সেই প্রশ্নও তুলছেন সচেতকদের অনেকে।

যদিও রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, বিধি মেনেই প্রচার করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বিধি তো ধার্য করা হল? তবে তা মান্য করা হচ্ছে কিনা, সেবিষয়ে কড়া নজরদারি থাকবে তো! কমিশনের বক্তব্য, গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘লাস্ট ট্রেন ৭টায়’! নেট দুনিয়ায় ঘুরছে যাত্রীদের একাধিক প্রশ্ন, বিভ্রান্তি কাটাতে রেলের ব্যাখ্যা

আরও পড়ুন: ‘মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে না খেয়েই মরে যাবে’, বিধিনেষেধ প্রসঙ্গে দিলীপকে পাল্টা খোঁচা ফিরহাদের