Na Bollei Noy: চাপে পড়ে পাল্টা আক্রমণ মমতা-অভিষেকের? যে কথা ‘না বললেই নয়’
TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছেন।
কলকাতা: নয়ডায় গতকাল যমজ বহুতল, ধুলোয় মিশেছে। অমন দুই আকাশচুম্বি ইমরাত মুহূর্তে ধুলো হতে দেখে, অবাক হয়েছেন? অবার হওয়ার এখনও অনেক বাকি। এই দেখুন প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর পরে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরাও তো তৃণমূলে বটবৃক্ষসম নেতা। দুই স্তম্ভও বলতে পারেন। সেই দুই নেতার পরেও না কি আরও কেউ কেউ গ্রেফতার হতে পারেন। এমন জল্পনা পাড়ার মোড়ে, পানের দোকানে, ট্রেনে, বাসে তুঙ্গে। তখন জল্পনা আরও জোরাল করে দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, এরপর ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করা হতে পারে। বলেছেন, সাজানো ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, তৃণমূলকে চোর প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে।
‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে’। দুই বিঘা জমির শেষে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুরুতে কী লিখেছিলেন? ‘শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।/ বাবু বলিলেন, বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে/ কহিলাম আমি, তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই’। তা বলে কি আর বাবুদের প্রয়োজন মেটে? উপেনের ওই সামান্য জমি, বাবু কিনে নিয়েছিলেন। দিন বদলেছে, বাঙালির বাবুয়ানির সাধ যায়নি। জমি জমা সম্পত্তির সাধ কি সহজে মেটে? অন্তত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের তো মিটেছে বলে মনে হচ্ছে না। সূত্রের খবর উত্তরবঙ্গের চিলাপাতায় রিসর্ট কিনেছিলেন প্রসন্নকুমার রায়। যে প্রসন্নর প্রতি অতি প্রসন্ন ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই-এর দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম চাঁই এই প্রসন্ন। কোটি কোটি টাকা তুলেছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ। সেই টাকায় ফ্ল্যাট, হোটেল, ভিলা, রিসর্ট। দিঘা, পুরী এমনকি দুবাইতেও নাকি প্রসন্নর প্রতিপত্তি ছিল। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পিপিপি মডেল ফলো করা করা হয়েছে। পি ফর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পি ফর প্রসন্নকুমার রায় এবং পি ফর প্রদীপ সিং। অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রসন্ন বা প্রদীপের মতো মিডলম্যানরা চক্রের কাজকর্ম চালিয়েছেন বহাল তবিয়তে। আর সেসব করতে গিয়েই একটু আধটু প্রতিপত্তি হয়েছে।
কী অদ্ভুত মিল দেখুন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে। দুই নেতার সঙ্গী-সাথীরা না কি যেখানে ছাই পেয়েছেন, উড়িয়ে দেখেছেন। এবং অমূল্য রতনও পেয়েছেন। এমনকি বেশকিছু দেবোত্তর সম্পত্তিও না কি আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের ছোঁয়ায় নেতার নামে হয়ে গেছে!
এমন সময়ে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছেন। তুলোধনা করেছেন, বিজেপিকে। এজেন্সিকে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, শত চাপের মুখেও তিনি লক্ষ্যচ্যুত হচ্ছেন না। ২০২৪ সালে দিল্লি তাঁর পাখির চোখ। একথায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কনফিডেন্স পাবেন নিশ্চয়ই। নয়তো যেভাবে সৌগত রায়ের মতো নেতা উল্টোপাল্টা কথা বলে ফেলছেন। ববি হাকিম টেনশন চেপে রাখতে পারছেন না। বা শ্রীকান্ত মাহাত-র মতো রাজ্যের মন্ত্রী, দলের তারকা বিধায়ক-সাংসদদের তুলোধনা করছেন, তাতে মনে হচ্ছে তৃণমূলের অনুশাসন টাল খেয়েছে।
এসব নিয়েই কথা হবে। টিভি নাইন বাংলায়। রাত ৮.৫৭, দেখবেন, না বললেই নয়।