National Medical College Hospital: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অপারেশন থিয়েটারে বাথরুমের জল! অর্থোপেডিক বিভাগে বন্ধ অস্ত্রোপচার
National Medical College Hospital: হাসপাতালের এর্মাজেন্সি ব্লকের চার তলায় অর্থোপেডিক বিভাগের একটি ওটি রয়েছে। সেখানেই অর্থোপেডিকের অস্ত্রোপচার হত।
কলকাতা: অপারেশন থিয়েটারে ঢুকছে শৌচাগারের দূষিত জল। ঘটনা খোদ কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের ওটি, সেখানে ওপর থেকে চুইয়ে শৌচাগারের জল ঢোকায় বন্ধ রাখা হয়েছে অস্ত্রোপচার। সংক্রমণের আশঙ্কায় অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের এর্মাজেন্সি ব্লকের চার তলায় অর্থোপেডিক বিভাগের একটি ওটি রয়েছে। সেখানেই অর্থোপেডিকের অস্ত্রোপচার হত। দু’দিন ধরে ওই ওটিতেই শৌচাগারের জল চুইয়ে পড়ছিল। ওই পরিস্থিতিতে অস্ত্রোপচার হলে, রোগীর যাতে কোনওরকম সংক্রমণ না হয়, তার জন্য অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এবার প্রশ্ন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো জায়গায় ওটি-র এই বেহাল দশা নিয়ে কি কোনওভাবেই অবগত ছিল না স্বাস্থ্য দফতর? এক্ষেত্রে নিউরো সার্জারির ওটি তিন দিন রীতিমতো ‘ধার নিয়ে’ অর্থোপেডেকি রোগীর চিকিৎসা চলছে। ক্যাজুয়ালটি ওটি অর্থাৎ ‘সিওটি’ তিন দিন ‘ধার’নেওয়া হয়েছে। একদিন সার্জারির ওটিও ‘ধার’ নেওয়া হয়েছে।
তবে অন্য ওটিতে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে অংশ দিয়ে চুইয়ে শৌচাগারের জল ঢুকছে ওটিতে, সেটি সারাতে সাত থেকে দশ দিন সময় লাগবে। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রেই জানা যাচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রে কোথাও একটি সমন্বয়ের ঘাটতি ঘটছে। অনেক ‘ওটি’ই পরিকল্পিতভাবে স্থগিত রাখা হচ্ছে। বুধবার আউটডোর বন্ধ রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাজীব রায়কে TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না। আমাদের ওটি হচ্ছে। এসব নিয়ে আমি আপনাকে আর কোনও কথা বলব না। ”
এমএসভিপি অর্ঘ্য মৈত্র বলেন, “একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়েছে। আমরা সব রোগীকে দেখে দেব। অর্থো ওটিটা খারাপ হয়ে রয়েছে। সেটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।”