Covid Update: রাজ্যে হাজির করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, খবর এল স্বাস্থ্য দফতরে

Covid Update: গত কয়েকদিনে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Covid Update: রাজ্যে হাজির করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, খবর এল স্বাস্থ্য দফতরে
ছবি সৌজন্যে : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 11:21 AM

কলকাতা : গত কয়েকদিনের করোনার রেখচিত্রের দিকে যদি চোখ রাখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একধাক্কায় ৭০০ পেরিয়ে যায়, যা সাম্প্রতিককালে অনেকটাই বেশি। এবার জানা গেল, নয়া উদ্বেগের কথা। রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের নমুনায় মিলেছে নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে এ কথা জানানো হয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্স (এনআইবিজি)। তবে ভ্যারিয়েন্টের নাম এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন ল্যাবরেটরি বা পরীক্ষাগার থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট চলে এসেছে এ রাজ্যে। সেটা যে ওমিক্রনেরই একটা সাব ভ্যারিয়েন্ট, এটা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তবে ভ্যারিয়েন্টের নাম এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। আগামী সপ্তাহে বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সের তরফ থেকে রিপোর্ট এলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে ভ্যারিয়েন্টের নাম।

তবে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর,  এনআইবিজি-র গবেষকরা জানিয়েছেন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে, তবে বেশি অসুস্থ হওয়ার বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকছে।

রাজ্যে সরকারি- বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২৭ টি ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। ওই সব ল্যাবে মোট যতগুলি নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তার ১২ শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সে। এরপর সেখান থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টেই নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।

গত ২২ জুনও দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯৫। একদিনে দুজনের মৃত্যু হয়েছিল। এর ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৩ তারিখেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৭৪৫। নতুন করে কোনও মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও একধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যায়।

গতকাল, শুক্রবারও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ৬৫৭। নতুন করে দুজনের মৃত্যুও হয়েছে রাজ্যে। পজিটিভিটি রেটও অনেকটাই বেশি। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, সেই হার ৭.০৪ শতাংশ। তবে আক্রান্তের এই বাড়বাড়ন্ত নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণেই কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।