Newtown: বিয়ে দিয়েছিলেন, বউরা ছেড়ে পালান, তারপর থেকে ১০টা বছর পাশাপাশি অন্ধকার ঘরে বন্দি নিউটাউনের দুই ভাই
কুড়ি বছর ধরে মনের রোগে ভুগছে দুই ভাই। এর পর তাঁদের বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের বউ ছেড়ে চলে যায়। তার পর থেকে তারা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবার আরও জানাচ্ছে, দুই ভাইকে রাস্তায় ছেড়ে দিলে এলাকার লোকদের মারধর করেন।
কলকাতা: দীর্ঘ দশ বছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে। প্রশাসনের সাহায্যের অপেক্ষায় পরিবার। মায়ের দাবি, তাঁর দুই ছেলেরই মানসিক কিছু সমস্যা রয়েছে। জেলায় মাঝে মধ্যেই এমন ঘটনা নজরে আসে। কিন্ত খোদ নিউটাউনে এই ঘটনা। নিউটাউন গৌরাঙ্গ নগরের ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি নির্মল মণ্ডল ও নমিতা মণ্ডলের দুই ছেলে শ্রীপদ ও সুজিত। এক-দুটো বছর নয়, এই দুই ছেলে দশ বছর ধরে ঘরের মধ্যে তালাবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
পরিবারের দাবি, কুড়ি বছর ধরে মনের রোগে ভুগছে দুই ভাই। এর পর তাঁদের বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের বউ ছেড়ে চলে যায়। তার পর থেকে তারা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবার আরও জানাচ্ছে, দুই ভাইকে রাস্তায় ছেড়ে দিলে এলাকার লোকদের মারধর করেন। পরিবার তাঁদের চিকিৎসা করতে থাকে কিন্তু তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অবশেষে কিছু বুঝতে না পেরে তাঁদের ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর মাঝে তাঁদের চিকিৎসা করতে থাকে। কিন্তু বাবা মায়ের অভিযোগ, তাঁরা আর চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারছেন না। মা লোকের বাড়ি কাজ করে কোনও রকমে খাওয়াটা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাবার বয়স এতটাই যে ভারী কোনও কাজ করতে পারেন না। দুই ছেলেকে দুটি ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় রেখে দিয়েছেন। গ্রিলের দরজার নীচ থেকে খাবার দেওয়া হয়। ঘরের মধ্যে না আছে পাখা, না আছে লাইট। সেগুলো লাগালে ভেঙে দেয় তাঁরা। ভয়ে কেউ দরজার তালাও খুলতে যান না।
TV9 বাংলায় খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই রাজারহাট নিউটাউন বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং স্থানীয় প্রধান রীতা গাইনের তৎপরতায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা দুই ভাইকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান কৈখালি চিড়িয়া মোড়ে রিহাব সেন্টারে।