Opponents of Anubrata Mondal: ‘এক সময়ে মাগুর মাছ বিকোতেন, এখন হাজার কোটির মালিক’, বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে নিয়ে সরব বিরোধীরা
Opponents of Anubrata Mondal: কার্যত বীরভূম শাসন করতেন তিনি, আজ তিনি সিবিআই-এর কব্জায়। অনুব্রতর গ্রেফতারিতে বিরোধীদের কী প্রতিক্রিয়া দেখুন এক নজরে...
কলকাতা: গ্রেফতার বীরভূমের বেতাজ বাদশা। গরু পাচার কাণ্ডে বুধবার সকালে বাড়ি থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। শুনশান পড়ে রয়েছে তাঁর কার্যালয়। কার্যত বীরভূম শাসন করতেন তিনি, আজ তিনি সিবিআই-এর কব্জায়। অনুব্রতর গ্রেফতারিতে বিরোধীদের কী প্রতিক্রিয়া দেখুন এক নজরে…
দিলীপ ঘোষ
বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন অনুব্রত। প্রয়োজনে ভুবনেশ্বরেও নিয়ে যেতে হতে পারে। অনেক নাটক করেছেন। এ তো ধড়িবাজ লোক আমরা কমই দেখেছি। আজ এদের জন্য মানুষের রাজনীতি সম্পর্কে ধারনা বদলে গিয়েছে।”
জগন্নাথ সরকার বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার বলেন, “যে বোলপুরের বাড়ির সামনে সবসময় ১০০-১৫০ লোক দাঁড়িয়ে থাকত। দাদা দাদা করত, আজ কোথায় তারা?গ্যাঙ অফ ফোরের রাজনীতি চলে বীরভূমে। তার বিরুদ্ধে লড়াই। চার মক্কেলের রাজনীতি চলে বীরভূমে। সেটাই শেষ করব। এক মক্কেলের পতন হয়েছে আজ। বাকি তিন মক্কেলের পতন শীঘ্রই হবে। বাকিদের নামও শীঘ্রই জানা যাবে। বীরভূমের তৃণমূল এখন তিন মক্কেলে ভাগ হয়ে গিয়েছে।”
সজল ঘোষ বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “অনুব্রত যে ভাল সংগঠক, সেটা আমি কখনই বিশ্বাস করি না। সঙ্গে যদি পুলিশ থাকে, আর পুলিশ যদি ক্রীতদাসের ভূমিকা নেয়, তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের মতো সংগঠক যে কোনও পাড়ায় তৈরি হতে পারে। এই লোকটা পলিটিক্যাল ট্রেন্ডটা বদলেছিল। রাজনীতিতে শালীনতা, বিরোধীদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বুক চিতিয়ে সেই কাজ করতেন।”
সুকান্ত মজুমদার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপি কর্মীরা গুড়, বাতাসা বিলি করবে। বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে। খাঁচা তৈরি হয়েছে। অনেকদিন লুকোচুরি খেললেন। এখন উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অক্সিজেন কতটা দেবে, তা সময়ই বলবে। বিজেপি কটা আসন পাবে, সেটা বড় কথা নয়। চোরেদের ধরাটাই বড় কথা।”
সুজন চক্রবর্তী সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা স্বাভাবিক পরিণতি। কিন্তু একটু দেরি হল। এবার আউট হয়ে গেলেন। দক্ষ সংগঠক নামে দক্ষ লুঠেরা, বোমাবাজ।”
শুভেন্দু অধিকারী
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মাগুর মাছ বিক্রি করত, সে এখন ১০০০ কোটি টাকার মালিক। সঠিক কাজ করেছে সিবিআই। আইনের আওতায় এনে তদন্তপ্রক্রিয়া চলবে। অনুব্রত মণ্ডল মাফিয়া। এই অনুব্রত মণ্ডলরা যাঁর নির্দেশে কাজ করেছেন, যাঁর কাছে মুড়ির টিনে করে টাকা গিয়েছে, তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আসুক।”