PAC Chairman: PAC চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণী, মামলার হুমকি বিজেপির
PAC Chairman: বিজেপির একই বক্তব্য, একজন দলবদলু বিধায়ককে বিজেপি বিধায়ককে বলেই দেখছেন স্পিকার। তবে কৃষ্ণ কল্যাণীই যে পিএসি চেয়ারম্যান হয়েছেন, তার নোটিস এখনও হাতে পায়নি বিজেপি।
কলকাতা: মুকুলের ইস্তফার পর আবারও পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে এক প্রস্থ বিতর্ক। রায়গঞ্জের বিধায়ককে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে আদালতে মামলার পথে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরেন কৃষ্ণ কল্য়াণী। তিনিও খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক। সেই একই প্রেক্ষাপটে মামলা করছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, মামলা হাইকোর্টে করা হবে নাকি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন, তা নিয়ে বিজেপির জাতীয় স্তরের লিগ্যাল টিম আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিজেপির একই বক্তব্য, একজন দলবদলু বিধায়ককে বিজেপি বিধায়ককে বলেই দেখছেন স্পিকার। তবে কৃষ্ণ কল্যাণীই যে পিএসি চেয়ারম্যান হয়েছেন, তার নোটিস এখনও হাতে পায়নি বিজেপি। বিজেপি মামলা করবে, এটা চূড়ান্ত। তবে মামলা করতে গেলে বেশ কিছু নথিপত্রের প্রয়োজন রয়েছে, সেই নথি হাতে আসার মামলা করবে বিজেপি। এই মামলাটি হাইকোর্টে হবে নাকি সুপ্রিম কোর্টে, তা সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি।
এর আগে মুকুল রায়কে নিয়ে ঠিক এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আদালত গোটা বিষয়টি ফিরিয়ে দিয়েছিল বিধানসভাতেই। শুভেন্দু অধিকারী দাবি তুলেছিলেন, মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর করার। কিন্তু সেই দাবি অধ্যক্ষ খারিজ করে দিয়েছিলেন।
কৃষ্ণ কল্যাণীর ক্ষেত্রেও বিধানসভা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁদের কাছে এমন কোনও নথি নেই, যাতে প্রমাণ হয়, কৃষ্ণ কল্যাণী দলবদল করেছেন। বাইরে কে কী করলেন, সেটা তাঁদের দেখবার বিষয় নয়।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন কৃষ্ণ কল্যাণী। কিন্তু, নির্বাচনের কয়েকমাস পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। শেষপর্যন্ত গত বছরের ২৭ অক্টোবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। যদিও বিধানসভার খাতায় কলমে এখনও কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি বিধায়ক।