Partha Chatterjee Arpita Mukherjee: একা থাকতে চাইছেন অর্পিতা, ‘কথামৃতে’ মনসংযোগের চেষ্টায় পার্থ
Partha Chatterjee Arpita Mukherjee: পয়লা বাইশের কক্ষে বসে পার্থ মননিবেশ করেছেন 'কথামৃত' আর 'অখণ্ড অবসর'-এর পাতায়। পার্থ আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিকই রয়েছেন।
কলকাতা: প্রেসিডেন্সি জেল টু আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার। দূরত্ব মেরেকেটে দেড় কিলোমিটার। সময় লাগে মিনিট পাঁচেক। এক কারাগারে রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী আরেকটিতে তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সাম্প্রতিককালের রাজ্যে বহু চর্চিত দুটি নাম। কেতাদুরস্ত জীবন ছেড়ে তাঁরা দু’জনেই এখন সচেষ্ট কারা-যাপনে অভ্যস্ত হতে। অসম এই লড়াই চালাচ্ছেন দু’জনেই। তবে জেল সূত্রে খবর, পার্থ কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে পড়লেও অর্পিতা এখনও সামগ্রীক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। এখনও তাঁর জন্য কোনও নির্দিষ্ট সেল নেই। বাকি বন্দিদের সঙ্গেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। একা সেলে থাকার জন্য আবেদন করছেন অর্পিতা। বেশি কারোর সঙ্গে কথা বলছেন না। চুপচাপই রয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই জেলের তরফে তাঁকে একটি বই দেওয়া হয়েছে। তবে বই পড়ার ক্ষেত্রে খুব একটা মন নেই অর্পিতার। খবরের কাগজ তো একেবারেই নয়। ড্রাই ফ্রুটের বায়না আর তিনি করেন না। খাচ্ছেন জেলের দেওয়া খাবারই।
খবর কাগজ পড়ছেন না পার্থও। তবে পয়লা বাইশের কক্ষে বসে পার্থ মননিবেশ করেছেন ‘কথামৃত’ আর ‘অখণ্ড অবসর’-এর পাতায়। পার্থ আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিকই রয়েছেন। তাঁর গোড়ালির ফোলা কিছুটা কমেছে। বাগে এসেছে তাঁর কোমরের ব্যথাও। বেশ কিছু রাজনীতি বিষয়ক বই চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। জেলের দেওয়া খাবারই খাচ্ছেন। স্নান করছেন জেলের ড্রামের জলে। ব্যবহার করছেন কমন টয়লেট। জেলে যে বাড়তি কোনও সুবিধা নেবেন না, তা তিনি আগেই জানিয়েছিলেন।
শোনা যাচ্ছে, পার্থ আইনজীবী মারফত খোঁজ নিয়েছেন অর্পিতার। তাঁকে আইনি সাপোর্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবীকে। প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীর রোজনামচায় এখন আর খুব বেশি ‘শেডস্’ নেই!