Modi-Mamata: ‘খেলা’ শেষ! অপেক্ষা আর চারদিনের, বাংলায় এগিয়ে রইলেন কে?

Modi-Mamata: ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রাজ্যে ৪টি সভা করে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। ভোট ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর ১৯টি সভা এই রাজ্যে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তমলুকে গয় ভার্চুয়াল সভা। একইসঙ্গে প্রথমবার কলকাতায় রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী।

Modi-Mamata: ‘খেলা’ শেষ! অপেক্ষা আর চারদিনের, বাংলায় এগিয়ে রইলেন কে?
নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: May 30, 2024 | 8:01 PM

কলকাতা: ১৬ মার্চ দিল্লির সদর দফতরে নির্বাচন কমিশন দেশের লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করে। তার আগে থেকেই যদিও শুরু হয়েছিলেন প্রস্তুতি। তবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা পর থেকে প্রচার পর্ব পারদ উঠতে শুরু করে সপ্তমে। এবারের ভোটে গোটা দেশের নজর রয়েছে আমাদের বাংলায়। ৪২ আসনের জমজমাট যুদ্ধ। বিজেপি শুরু থেকেই বাংলাকে টার্গেট করেছে। ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে লড়াইয়ে নামে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে ২০১৯ সালের ধাক্কা পাঁচ বছর বাদে কাটিয়ে তোলার মরিয়া লড়াই রাজ্যের শাসক তৃণমূলের। এই প্রেক্ষাপটেই ভোটের লড়াইয়ে ঝাপালেন দুই শিবিরের দুই কাণ্ডারি। নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই, দফা ধরে ধরে। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রাজ্যে ৪টি সভা করে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। ভোট ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর ১৯টি সভা এই রাজ্যে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য তমলুকে গয় ভার্চুয়াল সভা। একইসঙ্গে প্রথমবার কলকাতায় রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা দেশে ২০৬টি সভা ও রোড শো করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই তথ্য ১ মার্চ থেকে। 

তবে পিছিয়ে নেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তথ্য বলছে, ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর ৯৩টি সভা হয়েছে রাজ্যে। উত্তরবঙ্গে ৩১টি সভা ও ৪টি রোড শো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দক্ষিণবঙ্গে ৬২টি সভা ও ১৪টি রোড শো মুখ্যমন্ত্রীর। সোজা কথায় সত্তরউর্ধ্ব প্রধানমন্ত্রী ও ষাটউর্ধ্ব মুখ্যমন্ত্রী বিরামহীন ভাবে নিজেদের দলের হয়ে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে মাঝে মধ্যে উঠে এসেছে ক্লান্তির কথা। ভোট ঘোষণার আগে শারীরক ভাবে একাধিক ধাক্কা সামলাতে হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। ভোট প্রচারে বেড়িয়ে হেলিকপ্টারের মধ্যে হোঁচটও খেতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু বিরতি নেননি। প্রচারে চালিয়ে গেছেন দলের হয়ে। 

তবে, প্রধানমমন্ত্রীর মুখে ক্লান্তির কথা শোনা যায়নি। কিন্তু যে ধকল তাঁকেও নিতে হয়েছে সেটা যে ষথেষ্ট ক্লান্তিদায়ক তা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারেন না। তবে সব ক্লান্তি উড়িয়ে দিয়ে প্রচারে, সভায়, কথার লড়াইয়ে একে অপরকে টেক্কা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার ৪ তারিখ রেজাল্টে কার মুখের হাসি কতটা চওড়া হয়।