R G kar: মিল নেই অনেক কিছুরই, সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি: সূত্র
R G kar: আরজিকরে সেমিনার রুমে পরপর দুদিন থ্রি ডি স্ক্যানিং করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে একাধিক পায়ের ছাপ, হাতের ছাপ রয়েছে। কিন্তু প্লেস অফ অকারেন্স অর্থাৎ ঘটনাস্থলে থ্রি ডি স্ক্যানিং করে তদন্তকারীরা অনেকটাই হতাশ বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে বারবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। তারপর দফায় দফায় ৩৭ ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সোমবার সকালেও সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। তিলোত্তমার পরিবারের বয়ানের সঙ্গে কোনওরকমই মিল পাওয়া যাচ্ছে না সন্দীপ ঘোষের। তেমনটাই জানা যাচ্ছে। নতুন করে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সন্দীপের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার আবারও তিলোত্তমার বাড়িতে যাচ্ছেন আধিকারিকরা। পলিগ্রাফ টেস্ট করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, আরজিকরে সেমিনার রুমে পরপর দুদিন থ্রি ডি স্ক্যানিং করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে একাধিক পায়ের ছাপ, হাতের ছাপ রয়েছে। কিন্তু প্লেস অফ অকারেন্স অর্থাৎ ঘটনাস্থলে থ্রি ডি স্ক্যানিং করে তদন্তকারীরা অনেকটাই হতাশ বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে তদন্তকারীরা সূক্ষ সূক্ষ সূত্র তুলে আনেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে এত বেশি হাতের-পায়ের ছাপ রয়েছে যে সেখানে থেকে সূক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষে। কোনটা অভিযুক্তের হাতে-পায়ের ছাপ, সেটা খোঁজা কার্যত খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতনই।
কলকাতা পুলিশের তরফে আগে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, অর্থাৎ সকাল সাড়ে নটায় প্রথম এই দেহ দেখতে পাওয়া যায়, তারপর পুলিশের কাছে যে খবর যায়, তার মাঝের সময়ে এত জন ওই হলে ঢুকেছেন, তাতে প্রমাণ সংগ্রহ করতে অসুবিধা হচ্ছে তদন্তকারীদের। সন্দীপ ঘোষের কাছ থেকে পাওয়া বয়ানেও বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)