Raju Jha Murder Case: রাজু খুনে তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ তাঁরই ব্যবসার সহযোগী ‘বন্ধু’
Raju Jha Murder Case: ব্যবসায়ীর দাবি, সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রথম থেকেই বলে এসেছিলেন, এই খুনের ঘটনায় পেশাদার খুনিদের হাত থাকতে পারে। অথচ এখনও পর্যন্ত রাজু ঝা খুনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কোনও 'পাস্ট রেকর্ড' নেই। ব্যবসায়ীর বক্তব্য, রাজুর পুরনো ব্যবসার সহযোগী হওয়ার কারণে পুলিশ তাঁরই সংস্থার কর্মীদের গ্রেফতার করেছে।
কলকাতা: কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-র খুনের ঘটনায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ তাঁরই পরিচিত ব্যবসায়ী নরেন্দ্র খারকা। উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের নরেন্দ্রর বিরুদ্ধেই কয়লা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীর দাবি, সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রথম থেকেই বলে এসেছিলেন, এই খুনের ঘটনায় পেশাদার খুনিদের হাত থাকতে পারে। অথচ এখনও পর্যন্ত রাজু ঝা খুনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কোনও ‘পাস্ট রেকর্ড’ নেই। ব্যবসায়ীর বক্তব্য, রাজুর পুরনো ব্যবসার সহযোগী হওয়ার কারণে পুলিশ তাঁরই সংস্থার কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। তিন জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুজনকে গলসি থানা থেকে ছেড়েছে। একজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। এই অবস্থায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পুলিশের আচরণে হস্তক্ষেপের দাবি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বুধবার শুনানির সম্ভাবনা।
রাজু ঝা খুনে পানাগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক যুবককে। জানা গিয়েছে, কয়লা পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত নারায়ণ ওরফে নরেন্দ্র খাড়কার গাড়িচালক এই অভিজিৎ মণ্ডল৷ খুনের ১৯ দিন পর প্রথমে তাঁকেই গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় আরও ২ জনকে পরে পাকড়াও করা হয়। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই খুনে আপাতত নেপাল যোগের তথ্য হাতে পাচ্ছেন সিটের আধিকারিকরা। আপাতত অভিজিৎকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই মামলার চক্রীর হদিশ পেতে চাইছেন তাঁরা।
তদন্তকারীরা বিহাড়, ঝাড়খণ্ডে গিয়েও তল্লাশি চালান। এমনকি এই খুনের নেপথ্যে উত্তরপ্রদেশের গ্যাঙস্টারও জড়িত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন। কিন্তু এসবের পরেও অভিযুক্ত এতদিন পানাগড়েই আত্মগোপন করলেন, অথচ টেরই পেলেন না দুঁদে কর্তারা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেক্ষেত্রে তদন্তকারীরা বলছেন, অভিযুক্ত ঘটনার পর বেশ কিছুদিন দুর্গাপুরেই আত্মগোপন করেছিলেন। তারপর দুর্গাপুর থেকে পালিয়া গা ঢাকা দিয়েছে। তদন্তকারীদের হাতে নাকি মাস্টারমাইন্ডের ফোন নম্বরও হাতে এসেছে। তবে তাঁকে এখনও নাগালে পাননি তাঁরা।
যদিও মামলাকারীর বক্তব্য, এই অভিজিৎ মণ্ডল হোক, কিংবা যাঁদেরকে জেরার জন্য আটক করা হচ্ছে, তাঁরা প্রত্যেকেই তাঁর সংস্থায় কর্মরত। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্রর অফিস সিল করেছে সিট। এবার পাল্টা তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এই ব্যবসায়ী।