জলের তলায় বিঘের পর বিঘে গোলাপ বাগিচা, কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি

শুধু গোলাপ নয়, ছিল ফলের গাছও। বর্ষাকালে গাছ বিক্রির মরশুম, তার মধ্যেই এই ক্ষতিতে হতাশ বাগিচার মালিকরা।

জলের তলায় বিঘের পর বিঘে গোলাপ বাগিচা, কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি
জলে নেমে গাছ সরাচ্ছেন মজুরেরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2021 | 8:30 AM

কলকাতা: বৃষ্টি থেমেছে দিন তিনেক আগে। অথচ সোমবার সকাল পর্যন্তও জল নামেনি রাজারহাটে (Rajarhat)। আর তার জেরেই জলের তলায় বিঘার পর বিঘা গোলাপ বাগিচা। কোনোরকমে হাজার হাজার গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বাগিচার মালিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত খুব বেশি গাছ বাাঁচানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। রাজারহাটের শিখরপুরে এমনই একাধিক বাগিচা রয়েছে। সেই সব বাগিচার মালিকদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু গোলাপ নয়, মেক্সিকান ঘাসের চাষও হয় এই বাগিচায়।

জন মজুর লাগিয়ে গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বাগিচা মালিকরা। গাছগুলিকে মাঠের মঝেই মাটি, ইঁট ফেলে উঁচু ঢিবি করে তার ওপর জমা করে রাখা হচ্ছে। অনেকে আবার ঝুড়ি করে গোলাপের টবগুলো রাস্তার দু’পাশে সার দিয়ে রেখে গিয়েছেন। কেউ কেউ আবার শুকনো ডাঙা জায়গার অভাবে কিছুই করতে পারছেন না।ওই গ্রামের একটি নার্সারির মালিক শুভাশিস মণ্ডল বলেন, ‘কম করে ৩০ হাজার গোলাপ চারা ছিল আমার। পুজোর আগে ভালই দাম পাচ্ছিলাম। ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছিল।শীতকালে এটাই চার ইঞ্চি টবে বিক্রি করলে ২৫ টাকায় বিক্রি হত।’ তাঁর কথায় পুরো বাগান দেখে মনে হবে এটা এখন পুকুর হয়ে গিয়েছে।ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিয়ে বাগান করেছিলেন বলে জানান তিনি।পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে কমপক্ষে।

শিখরপুরের আর একটি বড় নার্সারির মালিক কল্যান মণ্ডল বলেন, ‘এখানে নিকাশি নালা বলে কিছু নেই। যেটুকু খানা, ডোবা ছিল তা বুজিয়ে বিল্ডিং তুলে নিয়েছেন প্রোমোটাররা।ফলে জমা জল জমে থাকায় প্রতিটি বাগানই পুকুরের চেহারা নিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, তাঁর অন্তত ৫০ থেকে ৬০ হাজার  গোলাপ চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।ক্ষতির পরিমান ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, জলে নেমে কাজ করতে হচ্ছে বলে বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে শ্রমিকদেরও। সব মিলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখ দেখছেন তাঁরা। এই অবস্থায় প্রশাসনের সাহায্য চাইছেন বাগিচা মালিকরা। আরও পড়ুন: পার্কিং ফি দিতে অস্বীকার করায় পুলিশকে মারধর পার্কিং কর্মীর, পাল্টা বন্দুক তাক করলেন অফিসার!