Mohan Bhagwat: ‘ভোটে লড়ে না RSS, নামের জন্য কাজ করে না’, পঞ্চায়েত ভোটমুখী বাংলায় ভগবতের বার্তা
RSS Chief: আরএসএস সরাসরি ভোটে লড়ে না। এ কথা নতুন কিছু নয়। কিন্তু সরাসরি ভোটে না নামলেও বিজেপি-র ভোটের ভিত্তি তৈরি করে আরএসএস- এমনটাই মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা।
কলকাতা: শহিদ মিনারে সাড়ম্বরে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করল আরএসএস। সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভগবতের উপস্থিতিতে হল সেই সভা। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতারাও। এই মঞ্চ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন সঙ্ঘপ্রধান। আসএসএস-এর চলার পথ, সেই পথের সঙ্গে নেতাজির আদর্শের মিল উঠে এসেছে ভগবতের কথায়। পাশাপাশি আরএসএস যে কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তাও এ দিন স্পষ্ট করেছেন ভাগবত। তিনি সাফ জানিয়েছেন, আরএসএস ভোটে লড়ে না। আরএসএস নাম প্রচারের আশায় কাজ করে না। সমাজের সকলকে নিয়ে পথ চলে আরএসএস। সঙ্ঘের যে ভাবমূর্তি ভাগবত শহিদ মিনার থেকে তুলে ধরলেন, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ এই আরএসএস-এর বিরুদ্ধে হিন্দত্ববাদী তত্ত্ব প্রচার। এবং অহিন্দুদের ভাবাবেগকে সম্মান না করার প্রায়শই অভিযোগ করে বিরোধীরা। সেই ভাবমূর্তি বদলাতেই কী এ রকম বার্তা দিলেন সঙ্ঘপ্রধান। সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্লেষক মহলে।
আরএসএস সরাসরি ভোটে লড়ে না। এ কথা নতুন কিছু নয়। কিন্তু সরাসরি ভোটে না নামলেও বিজেপি-র ভোটের ভিত্তি তৈরি করে আরএসএস- এমনটাই মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা। এমনকি বিজেপি-র উচ্চস্তরের অনেক নেতাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। রাজনীতির সঙ্গে RSS-এর সম্পর্ক নস্যাৎ করে দেন ভগবত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলায় দাঁড়িয়ে ভাগবত বলেন, “আমরা নির্বাচনে লড়তে আসিনি। আমাদের নামের দরকার নেই। আমরা সমাজের সকলকে কাজ করতে এসেছি।”
এ সবের পাশাপাশি সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলার জন্য আরএসএস প্রধানের বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহলের একাংশ। বিভিন্ন ধর্ম ও জাতির মানুষদের নিয়ে গঠিত এই ভারতবর্ষ। সেই ভারতে সমষ্টি নিয়ে চলার এ দিন বার্তা দিলেন ভগবত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “নেতাজি সমষ্টি জন্য ভাবতে বলেছিলেন। ব্যক্তির জন্য ভাবতে বলেননি। এটাই ভাবতে হবে আমাদের। যে যেখানেই কাজ করছেন, সংঘবদ্ধ হয়ে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। ব্যক্তির স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে কাজ করাই লক্ষ্য। দেশের কথা ভুলে ব্যক্তি উন্নতির কথা ভাবলে সর্বনাশ।”