BJP: মমতার পাল্টা মুখ নেই, তাই ভরাডুবি বঙ্গ বিজেপির? উত্তর দিয়ে দিল RSS
RSS on BJP: আরএসএস মনে করছে, বাম কংগ্রেসের আড়াই শতাংশ ভোট সরে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির থেকে এগিয়ে রেখেছে। স্পষ্ট বলা হচ্ছে, তৃণমূলের ভোট বৃদ্ধি বাম কংগ্রেসের জন্য। মমতার ভাতা বা সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি সেই ভোটকে সুরক্ষিত করেছে।
কলকাতা: লক্ষ্য ছিল চারশো পারের। কিন্তু, ফল বেরোতে দেখা গেল তা থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি। গোটা দেশে আশানুরূপ ফল যেমন হয়নি বাংলাতেও একই দশ। বাংলার জন্য কখনও ৩৫ আবার কখনও ৩০ এর টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহের মতো বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। কিন্তু, মাত্র ১২ আসনে থামতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে। আগের বারের থেকে বেশি তো দূর ৬ আসন দূরেই থামতে হয়েছে দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুদের। তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছেই এবার ময়নাতদন্তে নেমে পড়ল একেবারে আরএসএস। আরএসএস এর পত্রিকা ‘স্বস্তিকায়’ বিজেপির খারাপ ফলের কারণ নিয়ে করা হল বিশ্লেষণ। সেখানে ভরাডুবির পিছনে একাধিক কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট লেখা হল।
‘স্বস্তিকা’য় লেখা প্রতিবেদন বলছে, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও গ্রহণযোগ্য, জোরদার মুখ না থাকায় আশানুরূপ ফল করতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব। একইসঙ্গে অজানা-অচেনা আর চমকদার প্রার্থী দেওয়ার ফলে খেসারত দিতে হয়েছে বিজেপিকে। মনে করছে আরএসএস। একইসঙ্গে বিজেপির অন্দরে দলাদলি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
আরএসএস মনে করছে, বাম কংগ্রেসের আড়াই শতাংশ ভোট সরে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির থেকে এগিয়ে রেখেছে। স্পষ্ট বলা হচ্ছে, তৃণমূলের ভোট বৃদ্ধি বাম কংগ্রেসের জন্য। মমতার ভাতা বা সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি সেই ভোটকে সুরক্ষিত করেছে। একইসঙ্গে এও বলা হচ্ছে, তৃণমূলের জয় ভীতিতে। দুর্বল সংগঠন আর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কম থাকায় বিজেপির নেতারা তা কাটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে মানুষ সরে গিয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের জন্য একগুচ্ছ পরামর্শও দিয়েছে আরএসএস। সাফ বলা হচ্ছে, পরাজয়ের নেপথ্যে নিজেদের দোষ দেখাটাই বোধহয় বিজেপি নেতাদের ভবিষ্যতের পক্ষে মঙ্গল হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নতুন করে আত্মসমালোচনা করার কথাই বলতে চাইছে আরএসএস। RSS বারবারই বলছে, মমতার যথার্থ বদলি অর্থাৎ পাল্টা কোনও মুখ বিজেপিতে নেই। কিন্তু কেন এই খামতি কেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাঁচিয়ে রেখেছেন তাই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সেই মুখ এলে সংগঠন চাঙ্গা হবে বলে মত সংগঠনের তাত্ত্বিকদের।