Pallavi Dey Death: বাৎসরিকের আয়োজন চলাকালীন পল্লবীর মায়ের কাছে ফোন আসে, গলায় ফাঁসের কথা চেপে গিয়েছিলেন সাগ্নিক?
Pallavi Dey Death: রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। সাগ্নিকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনছে পরিবার।
কলকাতা : সিরিয়ালে কাজ প্রায় শেষের পথে। আগের দিনও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে বছর ২৫-এর অভিনেত্রী পল্লবীকে। তেমন অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি বলেই ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি। তাই রবিবারের ঘটনা চমকে দিয়েছে পল্লবীর পরিবার-পরিজনকে। সাগ্নিকের সঙ্গে এক ফ্ল্যাটেই থাকতেন পল্লবী। দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার সেই ফ্ল্যাটেই ঘটে যায় ওই দুর্ঘটনা। যে সময় ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় সঙ্গী সাগ্নিক ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন। তাই সবার আগে তিনিই পল্লবীকে ওই অবস্থায় দেখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর উপস্থিতিতে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটলা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার পল্লবীর বাড়িতে ছিল তাঁর দিদিমার বাৎসরিক কাজ। সেই কারণে তাঁর বাবা বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময়েই সাগ্নিকের ফোন আসে পল্লবীর মায়ের কাছে। সাগ্নিক পল্লবীর মাকে জানান, পল্লবী অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছেন বলে জানাননি তিনি।
এ কথা শুনেই পল্লবীর মা পরামর্শ দেন যাতে, এখনই তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান সাগ্নিক। সাগ্নিক জানান, তাঁর একার পক্ষে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি ফোনে বলে দেন, ‘আমি একা পারব না।’ পল্লবীর মা, ফ্ল্যাটের অন্যান্যদের ডাকতে বলেন। এ দিকে খবর পেয়েই পল্লবীর ভাই অ্যাম্বুলেন্স বুক করে দেন ও বাবাকে পুরো ঘটনা জানান। সঙ্গে সঙ্গে রওনা হন পল্লবীর মা, বাবা ও ভাই।
হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েকে পাওয়া গিয়েছে। ততক্ষণে ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিয়েছেন। পুলিশ এলে থানায় যান সকলে। এ দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পল্লবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সাগ্নিককে। আর মেয়ের মৃত্যুর পরই তাঁর বাবা একের পর এক অভিযোগ করেন সাগ্নিকের বিরুদ্ধে। মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তাঁর বাবা অভিযোগ করেন, সাগ্নিক মারধর করতেন পল্লবীকে। সাগ্নিক নিজের রেজিস্ট্রির বিষয়টাও পুরোটা এড়িয়ে যেতেন বলেও দাবি বাবার। পল্লবীকে নাকি পছন্দ করতেন না সাগ্নিকের মা। এমনকি পল্লবীর এক বান্ধবীর সঙ্গে সাগ্নিক মেলামেশা করতেন বলেও উল্লেখ করেছে পল্লবীর পরিবার। তাঁদের দাবি, মেয়ের অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটেও আসতেন পল্লবীর সেই বান্ধবী। পল্লবীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যাচ্ছে, এই বান্ধবী পল্লবীর অনেক দিনের বন্ধু। পল্লবীর প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গেও একসময় তাঁর সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে বহু ছবি এখনও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে পল্লবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেখানে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেত্রী।