Shantanu Banerjee: ‘মাস্টারমাইন্ড কুন্তলই, টাকাগুলো অন্য রাজ্যে পাঠাচ্ছে’, আদালতে ঢোকার আগে মুখ খুললেন বলাগড়ের ‘বাদশা’
Shantanu Banerjee: শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তলব করা হয়েছিল। তিনি জেরার সম্মুখীনও হয়েছিলেন। কিন্তু বেরনোর সময়ে কখনই এর আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে সেভাবে মুখ খোলেননি শান্তনু।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড কুন্তল ঘোষই। মিথ্যা অভিযোগ করে তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিস্ফোরক দাবি করলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কুন্তল টাকা অন্য রাজ্যে পাঠাচ্ছেন বলেও সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আদালতে যাওয়ার পথে দাবি করেন যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাগড়ের যুব নেতাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার করার সময়েই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তবে কিছু প্রশ্ন করার আগেই নিজে থেকে বলা শুরু করেন, “মাস্টারমাইন্ড কুন্তল। ওই সবাইকে এইভাবে ডাইভার্ট করছে। আর ওর টাকাগুলো অন্যদিকে সাইড করছে। অন্য স্টেটে পাঠাচ্ছে। আপনারা খোঁজ নিন।”
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তলব করা হয়েছিল। তিনি জেরার সম্মুখীনও হয়েছিলেন। কিন্তু বেরনোর সময়ে কখনই এর আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে সেভাবে মুখ খোলেননি শান্তনু। গ্রেফতারির পর প্রথম দিন তিনি দাবি করেছিলেন, “আমি টাকা নিই নি, আমি কাউকে টাকা দিইনি।” তখনও সেভাবে তাঁর মুখে কারোর নাম শোনা যায়নি। এইদিন আদালতে যাওয়ার সময়ে তিনি কুন্তলের নাম নেন। শুধু তাই নয়, কুন্তলই ‘মাস্টারমাইন্ড’বলে দাবি করেন তিনি। প্রথম থেকেই কুন্তল ঘনিষ্ঠ হিসাবেই নাম উঠে এসেছে হুগলির তৃণমূল যুব নেতার। কুন্তলের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র থাকার বিষয়টিও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এর আগে কুন্তলকে জেরা করার পরই শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এবার গ্রেফতারির পর মুখ খুলে প্রথমবার কুন্তলেরই নাম নিলেন শান্তনু।
ইতিমধ্যেই শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। রিসর্ট, ধাবা আর কত কী! গত কয়েক বছরে এই শান্তনুর সম্পত্তির পরিমাণ যেভাবে বেড়েছে, তা দেখে হতভম্ব তদন্তকারীরাও। শান্তনু পত্নী প্রিয়াঙ্কাকেও তলব করেছে ইডি। এরই মধ্যে কুন্তল প্রসঙ্গে শান্তনুর এহেন মন্তব্যের যথার্থতাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অবশ্য কুন্তল যে কথা ঘোরাচ্ছেন, তা আগে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল, যিনি এই নিয়োগ দুর্নীতির আরও এক চাঁই।