Kunal Ghosh: রবিবারই কুণালকে শো-কজ?
Kunal Ghosh: দলীয় সূত্রে খবর, শোকজ করা হতে পারে কুণাল ঘোষকে। কেন তিনি দলের অভ্যন্তরে না বলে এভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন? এই প্রশ্নও কুণাল ঘোষকে করা হতে পারে বলে খবর। এদিনই তাঁর কাছে যেতে পারে শোকজ লেটার।
কলকাতা: তৃণমূল মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, শুধুমাত্র মুখপাত্র পদে কুণাল ঘোষের ইস্তফা গ্রহণ করেছে তৃণমূল। সাধারণ সম্পাদকের পদে ইস্তফা গ্রহণ করা হয়নি বলেই শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিন যত গড়াচ্ছে ততই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুণালের সংঘাত বেড়েই চলেছে। যেভাবে প্রকাশ্যে সুদীপের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন কুণাল তাতে রাজনৈতিক মহলেও জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। বিশেষত ভুবনেশ্বরে যখন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ভর্তি ছিলেন সেই সময়ের বিল সংক্রান্ত ইস্যু তুলে যেভাবে ইডি এবং সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন কুণাল তাতে দলের উপরতলার কিছু নেতাদের ক্ষোভ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন এভাবে প্রকাশ্যে দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে কুণালের বিরোধিতা লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে, মনোবলে আঘাত লাগতে পারে দলের কর্মীদের।
দলীয় সূত্রে খবর, শোকজ করা হতে পারে কুণাল ঘোষকে। কেন তিনি দলের অভ্যন্তরে না বলে এভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন? এই প্রশ্নও কুণাল ঘোষকে করা হতে পারে বলে খবর। এদিনই তাঁর কাছে যেতে পারে শোকজ লেটার। সেই জল্পনাও মাথাচাড়া দিয়েছে। এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে কুণাল ঘোষ স্পষ্টতই লেখেন, “আমি তৃণমূলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। খবর পেয়েছি, শুধু মুখপাত্র থেকে ইস্তফার অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। দলের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ, সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও ইস্তফাটি গ্রহণ করা হোক। আমি ওই পদে থাকব না। আমি শুধু কর্মী হিসেবে থাকব।” যা নিয়ে এখনও চাপাপনউতর চলছে।
এরইমধ্যে আবার উত্তর কলকাতার তৃণমূলের লোকসভা পদপ্রার্থী হিসাবে শনিবারই আবার শশী পাঁজার নাম করতে দেখা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে। যা নিয়েও জলঘোলা হচ্ছে। সুদীপের উপর চাপ বাজডাতেই কী এই কৌশল? সেই প্রশ্নও উঠেছে। অন্যদিকে শনিবারই আবার তৃণমূলের ব্রিগেড সফল করতে উত্তর কলকাতাতেই মিছিল করতে দেখা যায় কুণালকে।