Sovan Baishakhi: বৈশাখীর ওপর ছেলে তুলে দেওয়ার হুমকি, কাঠগড়ায় ‘রত্না ঘনিষ্ঠ’

Sovan Baishakhi: শোভন আরও বলেন, "বৈশাখীকে আমি অনুরোধ করেছি, তিনি সমস্ত ঘটনা, আমার বিবাহিত জীবনের একটা বড় সময়ে বহু ঘটনার সাক্ষী। তারপর স্বাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।"

Sovan Baishakhi: বৈশাখীর ওপর ছেলে তুলে দেওয়ার হুমকি, কাঠগড়ায় ‘রত্না ঘনিষ্ঠ’
আদালতে রত্না, বৈশাখী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 5:08 PM

কলকাতা: আদালত চত্বরেই এবার শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল আদালত চত্বরে। সোমবার আলিপুর আদালতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় সাক্ষী হিসাবে আদালতে শোভনের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তিনি অভিযোগ করেন, আদালত চত্বরের মধ্যে তাঁকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের লোকজন। ৪০ থেকে ৫০ জন লোক নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় আদালত চত্বরে এদিন ঢুকেছিলেন বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে পিকলু নামে একজন অশ্লীল মন্তব্য করে বলে বৈশাখীর অভিযোগ। এমনকি বিনা অনুমতিতে রত্না ঘনিষ্ঠরা বৈশাখীর একাধিক ছবি তোলেন বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, আগাম আশঙ্কা করেই পুলিশকে ফোন করেছিলেন শোভন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই মামলাটি প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে রত্না চট্টোপাধ্যায় লোকজন নিয়ে এসেছেন । শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তাঁকে বাধ্য হয়ে পুলিশকে খবর দিতে হয়। কারণ অনবরত একজন মহিলার আদালত চত্বরে ছবি তোলা হচ্ছে এবং অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে অসম্মান করা হচ্ছে। ভয় পেয়ে বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশকে খবর দেন। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বেশ কিছু অপরিচিত লোকজন নিয়ে এসেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্দেহ, আদালত চত্বরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকলেও থাকতে পারে। এদিন আলিপুর আদালত চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে গোটা ঘটনা সামাল দেয়।

শোভন বলেন, “আমরা অত্যন্ত ভদ্র বলেই কিন্তু কোনও উত্তর দিইনি। আমাদের ভদ্রতাকে ওঁরা দুর্বলতা ভাবছেন। আইনজীবী রয়েছেন, তাঁরাই উত্তর দেবেন। আইনগত দিক থেকে যে সিদ্ধান্ত হবে, সেটা মেনে নিতে হবে। পিকলু ছিল, তেমনি বহু ছেলে ছিল। সাক্ষী হিসাবে রয়েছেন বৈশাখী।”

শোভন আরও বলেন, “বৈশাখীকে আমি অনুরোধ করেছি, তিনি সমস্ত ঘটনা, আমার বিবাহিত জীবনের একটা বড় সময়ে বহু ঘটনার সাক্ষী। তারপর স্বাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।”

বৈশাখী বলেন, “আমার নাম নিয়ে এমন কথা বলা হয়েছে, যা বলার মতো নয়। পিকলু বলে একজন ঘুরে বেরাচ্ছেন। যিনি বলেছেন, তাঁকে আমি নিজেও দেখেছি। আমার ছবি তুলছেন একাধিকজন। আমি সবটা লক্ষ্য করেছি। আমি লিখিত অভিযোগ জানাব। একটা মামলা চলছে। আমি তাঁর সাক্ষীমাত্র। পিকলুই বলেছে, আমার ওপর ছেলে তুলে দিতে। ” এদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায়ও বৈশাখী সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এগুলো সব মিথ্যে অভিযোগ। যারা গেছিল তারা আমার দলের কর্মী। আমি ভাড়া করে বাউন্সার নিয়ে যায়নি ওদের মতো। আজ যদি ৪০ জন গিয়ে থাকে, তাহলে পরবর্তীকালে আরও লোক যাবে আদালত চত্বর ভরিয়ে দেব লোকজন দিয়ে।” রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “কেন বৈশাখী সিঁদুর পরেন? ওঁর তো ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। বৈশাখীর সন্তানকে শোভনের সন্তান বলে ওঁ কেন চালাচ্ছেন? ওঁ একজন ছেলে ধরা।”