CBI : ‘বন্দে ভারতের স্পিডে তদন্ত করুন’, সিবিআইকে ভর্ৎসনা আদালতের
CBI : একই মামলায় পার্থর পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য এস পি সিনহা, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ আরও সাত জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিন প্রত্যেকেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতারির পর বর্তমানে জেলেই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। গত ডিসেম্বরের শেষে চলা শুনানিতে পার্থর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত (Special CBI Court)। সেই মেয়াদ শেষ হতে এদিন ফের পার্থকে তোলা হয় আদালতে। তবে এদিনও মেলেনি জামিন। ফের এসেছে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ। তবে শুধু পার্থ একা নন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ-সহ আরও ৭ শিক্ষাকর্তারও ১৯ জানুয়ারি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন শুনানি চলাকালীন আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। কেন তদন্তের গতি বাড়ছে না? এদিন কার্যত সমালোচনার সুরে সেই প্রশ্ন করেন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক।
সূত্রের খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সিবিআইয়ের কাছে সরাসরি প্রশ্ন করেন, “আপনারা কী এ মামলায় নতুন করে কাউকে সন্দেহ করছেন?” উত্তরে তদন্তকারী অফিসার বলেন, “যাদের মাধ্যমে কাজ হয়েছে সেই সংখ্যাটা অনেক। আমরা এই বিষয়টির উপর জোর দিচ্ছি।” এরপরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে সিবিআইকে তদন্তে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বলেন, “আপনারা বলছেন যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। কিন্তু, তাহলে এত দেরি কেন স্পিড বাড়ান।” সরাসরি তুলনা টানেন বন্দে ভারত-শতাব্দী এক্সপ্রেসের সঙ্গে। খানিক রসিকতার সুরে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “দুন এক্সপ্রেসের মতো না হোক, বন্দে ভারতের মতো করুন। তাও নাহলে শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো করুন। কিন্তু, স্পিড বাড়ান।”
প্রসঙ্গত, একই মামলায় পার্থর পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য এস পি সিনহা, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ আরও সাত জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিন প্রত্যেকেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আদালতে ইডি-সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। হঠাৎ কেন তাঁর মুখে এমন প্রশ্ন? সঠিক তথ্য-প্রমাণ না দিতে পারলে বেশিদিন তাঁকে কারাবন্দি করা যাবে না! এটাই কী বলতে চেয়েছিলেন পার্থ? এদিন সিবিআই আদালতের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ার পর সেই জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।