Bratya Basu on SSC: ‘মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হবে নিয়োগ’, পার্থর জমানা নিয়ে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কৌশলী অবস্থান

Bratya Basu on SSC: এসএসসি-র নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।

Bratya Basu on SSC: 'মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হবে নিয়োগ', পার্থর জমানা নিয়ে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কৌশলী অবস্থান
এসএসসি নিয়োগ নিয়ে ঘোষণা ব্রাত্যর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 10:16 PM

কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে উঠেছে ভূরি ভূরি অভিযোগ। রাস্তায় রাস্তায় দেখা গিয়েছে বিক্ষোভের ছবি। দুর্নীতি আর বেনিয়মের অভিযোগ তুলে যে মামলা হয়েছে, তাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু সেই সব অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করায় কৌশলী জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যে সময়ের অভিযোগ, সেই সময়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, ওই সময়ের অভিযোগ কথা বললে তা অনধিকার চর্চা করা হবে। তাই অতীত নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি।

এ দিন ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সব জটিলতা আমরা কাটিয়ে উঠে মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ করব।’ তিনি উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়েই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন। আর এবার তা কার্যকর করলেন। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এসএসসি-তে কয়েক হাজার নতুন নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, ‘অতীত নিয়ে আমি কথা বলতে পারব না। আগে কী হয়েছে, পরে কী হবে এই চর্চার মধ্য়ে যেতে আমি রাজি নই। দায়িত্ব নিয়ে বলছি ভুল থাকলে সংশোধন করব। মেধা, যোগ্য়তা ও স্বচ্ছতা, এগুলিই আমাদের মূল ভিত্তি।’

উল্লেখ্য, একদিকে যেমন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, অন্যদিকে সম্প্রতি একটি মামলায় নাম জড়িয়েছে ব্রাত্য বসুরও। এসএসসি-র বিরুদ্ধে হওয়া ওই মামলায় ব্রাত্য বসুর বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেছেন মামলাকারী। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘একমাত্র তৃণমূল কর্মীরাই চাকরি পাবেন’, এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে। তবে বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকে নিয়োগ দুর্নীতির দায় কার্যত ঝেড়ে ফেলেছেন ব্রাত্য বসু। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হলে, স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তাই আপাতত স্বস্তিতে রয়েছের পার্থ। নিয়োগের আগে যে সুপারিশ কমিটি তৈরি হয়েছিল, তা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মাফিক হয়েছিল বলেই অভিযোগ ওঠে।