Madan Mitra: মদনের নামে ভাবনীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের SSKM কর্তৃপক্ষের
Madan Mitra: শুক্রবার রাতের সমস্ত ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে মদন মিত্রকে। তবে তিনি ছাড়াও অভিযোগত্রে আরও কয়েকজনের নাম আছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে।
কলকাতা: টানাপোড়েন চলছিলই। আক্রমণ, পাল্টা অভিযোগ সবই চলছিল। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পিজি কর্তারা প্রথমে সরাসরি তার নাম না করেননি। তবে ‘তিনি যেই হন, কারও দাদাগিরিই’ যে এসএসকেএম সহ্য করবে না তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মদন মিত্রর (Madan Mitra) নামে অভিযোগ জমা পড়ল ভবানীপুর থানায়। অভিযোগ করল এসএসকেএম (SSKM) কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাতের সমস্ত ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে মদন মিত্রকে। তবে তিনি ছাড়াও অভিযোগত্রে আরও কয়েকজনের নাম আছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মদনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, পেশায় হাসপাতালে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট শুভদীপ পাল ১৮ মে রাতে বাইপাসে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি। এরপরই তাঁরা মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসার খরচ অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় তাঁরা সরাসরি কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের দ্বারস্থ হন। মদনের নির্দেশে তাঁরা চলে যান এসএসকেএমে। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে রোগীকে দীর্ঘক্ষণ না দেখে বসিয়ে রাখা হয়। মদন মিত্রর সাফ দাবি, রাতে তাঁর সঙ্গে এই রোগী ভর্তি নিয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কথা হয়। অরূপ বিশ্বাস নাকি তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেছেন হাসপাতালের অ্যাস্টিস্ট্যান্ট সুপার রোগীকে দেখেছেন। কিন্তু, শুভদীপ পালের পরিবারের সদস্যরা জানান, দেখা তো দূর, উল্টে তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মদন মিত্র। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন এসএসকেএমের বিরুদ্ধে। দলের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন। যা নিয়ে শনিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল বাংলার রাজনৈতিক মহল।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় শুরুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে হাসপাতালে যা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। ইচ্ছাকৃত ভাবে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের হেনস্থা এবং গালিগালাজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি এ ক্ষেত্রে জ়িরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।’’