Sukanta Majumdar: ‘কিম জং উনকে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, তিনি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী’

BJP Bengal: আজ সকালে তৃণমূলের একটি দল এসে পৌঁছয় বিজেপির রাজ্য দফতরে। দফতরে লাগিয়ে দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।

Sukanta Majumdar: 'কিম জং উনকে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, তিনি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী'
গণতন্ত্র কোথায়, প্রশ্ন তুলছে বিজেপি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2021 | 3:35 PM

কলকাতা :  রাজনৈতিক অশান্তি হয়েছে ত্রিপুরায়। তারই আঁচ পৌঁছেছে দিল্লি থেকে কলকাতা। আজ সকালে বিজেপি রাজ্য দফতরের সামনে তৃণমূল কর্মীরা যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তার কড়া নিন্দা করল বিজেপি নেতৃত্ব। এই ধরনের প্রতিবাদ গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে ত্রিপুরায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বিজেপির জঙ্গলরাজ চলছে’ বলে যে মন্তব্য করেছেন, তারও জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। সুকান্তের দাবি, জঙ্গলরাজ ত্রিপুরায় নয় পশ্চিমবঙ্গে চলছে।

বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘পৃথিবীর দুটি জায়গার তুলনা করা চলে, উত্তর কোরিয়া আর পশ্চিমবঙ্গ। কিম জং উনকে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, তিনি আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।’ এ দিন ত্রিপুরা পৌঁছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। এ ভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

একই সঙ্গে বিজেপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে প্রতিবাদের একটা পদ্ধতি আছে, প্রতিবাদের একটা স্থান আছে। তাই বলে কোনও রাজনৈতিক দলের অফিসের সামনে এ ভাবে বিক্ষোভ দেখানোর কথা সংবিধানে নেই।’ ঘটনার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে আগেই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার এ দিন বলেন, ‘পুলিশ বা পুলিশ মন্ত্রীর কাছে এর থেকে বেশি কিছু আশা করি না।’ তবে সংবিধানের প্রতি আস্থা আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

দিল্লিতে অমিত শাহ সাক্ষাতের সময় না দেওয়ায় তৃণমূল বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা দেশের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। আজ বললেই কাল তাঁর সঙ্গে দেখা করা যায় না। এ ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তথা তৃণমূল নেতৃত্বের অপেক্ষা করা উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে ত্রিপুরা প্রসঙ্গে আইনের ওপর ভরসা রাখার কথাই বলছে বিজেপি নেতৃত্ব।

গতকাল যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ত্রিপুরায় গ্রেফতার হয়েছে। এরপরই কলকাতা থেকে দিল্লি সব জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে তৃণমূল। একদিকে যখন দিল্লির নর্থ ব্লকে অমিত শাহের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল, অন্যদিকে তখন বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল।

সোমবার সকালে তৃণমূলের একটি দল এসে পৌঁছয় বিজেপির রাজ্য দফতরে। দফতরে লাগিয়ে দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতা বলেন, “বাংলার গণতন্ত্র রয়েছে। আজকে বিজেপির পার্টি অফিসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে দিয়ে আমরা প্রমাণ করে দিলাম, তৃণমূল চাইলে বাংলায় বিজেপি পার্টি অফিস নাও থাকতে পারত। কিন্তু তৃণমূল সেটা করবে না। তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।”

বিজেপির কর্মী সমর্থকরা রাজ্য দফতর আগলে রাখেন। অভিযোগ, তৃণমূল যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল, তখন কোনও পুলিশ দেখা যায়নি। কিন্তু বিজেপি কর্মী সমর্থকরা প্রতিরোধ গড়তে আসেন, তখন রাস্তার দুই ধার গার্ডওয়াল দিয়ে আগলে রাখে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন : TMC in Tripura: বাংলায় হলে ত্রিপুরায় নয় কেন! মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল