Suvendu Adhikari: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, কুণালকে নোটিস শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কলকাতা: নলহাটির সভায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য নিয়ে মানহানির মামলা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার নলহাটির স্কুল মাঠে সভা করেন কুণাল ঘোষ। সেই জেলার দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এখন হাজতে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সেখানকার দলীয় কর্মীরা যাতে অভিভাবকত্বহীনতায় না ভোগেন, তারই পাঠ পড়ান কুণাল ঘোষ। সেদিন মঞ্চ থেকে একটি অডিয়ো ক্লিপ শোনান কুণাল ঘোষ। তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দুর বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের অডিয়ো টেপ শোনান। কর্মী সমর্থকদের সামনে কুণাল ঘোষ বলেন, “কে গদ্দার?” অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় আসার পথে শুভেন্দু নাকি গুড় বাতাসা, নকুলদানা দেখতে পাননি বলে জানিয়েছিলেন। তাই কর্মী সমর্থকদের তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন , “কোনও পাতলা গুড় বা ঝোলা গুড় নয়, একেবারে পাটালি, মোটা দেখে পাটালি তুলে রাখবেন।”
কুণালের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কুণাল ঘোষ সেদিন আরও বলেছিলেন, “বিজেপির (BJP) ট্রেনি রাজ্য সভাপতি একটা লাউডগাকে কেউটে বলে বাজারে ছাড়তে চাইছে। জেলা থেকে বিজেপিকে হারিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের জবাব দিতে হবে।”
কুণাল ঘোষের বক্তব্য ছিল, অনুব্রত মণ্ডলের মতো একটা সুদক্ষ সাংগঠনিক নেতাকে জেলে ঢুকিয়ে পঞ্চায়েত পার করতে চাইছে বিজেপি। সেটা যাতে না হয়, তার জন্য দলীয় কর্মীদের সচেতন করেন তিনি। বিজেপিকে লোকসভায় ক্ষমতাচ্যুত করারও ডাক দেন তিনি। এই বিষয়টি বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বাঘকে খাঁচায় রেখে দুটো শিয়ালকে পাঠিয়েছে এখানে।” এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তারপরই শুভেন্দু অধিকারী মানহানির নোটিস দেন।