Suvendu Adhikari: চাকরি তো দূরের কথা, পার্থর কাছে একটা ব্ল্যাক বোর্ডও কখনও চাইনি: শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: এরপরই শুভেন্দু বলেন, "এর আগেও আমার বিরুদ্ধে বলেছিলেন। আমি সেদিনও উঠে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম প্রমাণ করে দেখান। আপনার ওই চোর পার্থকে শুভেন্দু অধিকারী চাকরি তো দূরের কথা, একটা প্রাইমারি স্কুলের ব্ল্যাক বোর্ডের জন্য়ও কোনদিন বলেনি।"

Suvendu Adhikari: চাকরি তো দূরের কথা, পার্থর কাছে একটা ব্ল্যাক বোর্ডও কখনও চাইনি: শুভেন্দু
পার্থকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 3:12 PM

কলকাতা: অগ্নিপথ ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিধানসভা। বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় উঠে আসে রাজ্যে চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়টি। তখনই নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কটাক্ষ করেন তিনি। পাল্টা জবাবে শুভেন্দু অধিকারীও করলেন বড় চ্যালেঞ্জ। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমি একটা চাকরি তো দূরের কথা। একটা ব্ল্যাক বোর্ড নিয়েছি, প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতিতে থেকে অবসর নেব।”

বিধানসভায় সোমবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে লাফাচ্ছে। বিজেপির এমপি-এমএলরা-ও তাহলে ছাড় পাবেন না। দাদামণি বলছে ১৭ হাজার লোকের চাকরি খাবে। লাখখানেক চাকরির মধ্যে ৫০-১০০টা কেস ভুল হতেই পারে।’’

নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেন, “চাকরি যদি যায়, তাহলে তাঁর বাড়িতেও বহু লোক ধর্না দেবে।” তাঁর বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী যে সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, সে সময়ে তিনি চাকরি দিয়েছিলেন। পুরুলিয়ার জন্য সে চাকরি বরাদ্দ ছিল, তা তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে তৎকালীন সময়ে বিক্ষোভও হয়েছিল। একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিরোধী দলনেতা অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে হুমকি দিচ্ছেন! বলছেন ১৭ হাজার চাকরি যাবে, তোমার বাড়িতে পাঠাব… মানে আমাকে বলছেন। তারপরই বলছেন বিজেপি এমএলএ-দের বাড়িতে পাঠাব। হোয়াট ইজ় দিস? গুন্ডা মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৫৬ ভোটে হারার যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না।”

এরপরই শুভেন্দু বলেন, “এর আগেও আমার বিরুদ্ধে বলেছিলেন। আমি সেদিনও উঠে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম প্রমাণ করে দেখান। আপনার ওই চোর পার্থকে শুভেন্দু অধিকারী চাকরি তো দূরের কথা, একটা প্রাইমারি স্কুলের ব্ল্যাক বোর্ডের জন্য়ও কোনদিন বলেনি।”

বিশ্লেষকদের কথায় একটা বিষয় এক্ষেত্রে উঠতেই পারে। আদালতে বিচারাধীন এমন একটি মামলা, সেটি নিয়ে আইনসভায় দাঁড়িয়ে কি মুখ্যমন্ত্রী এমন কথা বলতে পারেন? আরও একটি প্রশ্ন, কেন এমনটা বললেন মুখ্যমন্ত্রী? নিয়োগ নিয়ে যখন রাজ্য সরকার রীতিমতো কোণঠাসা। তাহলে কি ‘চাকরি যেতে দেব না’ বলে রাজ্য সরকারেই মনোবল বাড়াতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? বিশ্লেষকরা তেমনটাই মনে করছেন।

বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এত মিথ্যা কথা বললে ভাল হয় না। বাম আমলে যদি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়ে থাকে, আমি বিধানসভাতে অন রেকর্ড বলেছিলাম, যদি মনে করেন, তাহলে কমিশন করুন। যারা নিজেরা দুর্নীতি করে,তা অন্যের ঘাড়ে চাপানোটা ঠিক নয়।”