কলাইকুণ্ডার বৈঠকে শুভেন্দুর নাম, কপ্টার ঘুরিয়ে দিঘা চলে যেতে পারেন ‘অসন্তুষ্ট’ মমতা

তৃণমূলের দাবি প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কেন কোনও বিধায়ককে রাখা হবে। আবার বিজেপি বলছে, থাকতেই পারেন বিরোধী দলনেতা।

কলাইকুণ্ডার বৈঠকে শুভেন্দুর নাম, কপ্টার ঘুরিয়ে দিঘা চলে যেতে পারেন 'অসন্তুষ্ট' মমতা
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2021 | 11:58 AM

কলকাতা: ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কলাইকুণ্ডায় (Kalaikunda) মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন, এমনটাই কথা রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেও বৈঠকে থাকার কথা জানিয়েছেন গত কালই। কিন্তু আজ, বৈঠকের দিন সকালে জানা গেল কলাইকুণ্ডায় থাকতে পারেন শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। আর তা শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা ওই বৈঠকে থাকলে তিনি কলাইকুণ্ডায় নামবেন না বলে সূত্রের খবর।

সকালেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেও প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কলাইকুণ্ডায় যাওয়ার কথা মমতার। শোনা যাচ্ছে কলাইকুণ্ডার বৈঠকে যাঁরা থাকতে পারেন তাঁদের মধ্যে রয়েছে বিরোধী দলনেতা তথা নির্বাচনে মমতার প্রতিপক্ষ শুভেন্দু। সেই বিষয়টাকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না মমতা তথা তৃণমূল। সূত্রের খবর, মমতা সাফ জানিয়েছেন যে তালিকা থেকে শুভেন্দুর নাম বাদ না গেলে তিনি কলাইকুণ্ডায় যাবেন না, হেলিকপ্টার ঘুরিয়ে সোজা চলে যাবেন দিঘায়।

জানা যাচ্ছে, আজ মোদীর এই বৈঠককে প্রশাসনিক স্তরের বলেই জানা গিয়েছে। সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানেরও থাকার কথা এই বৈঠকে। পরে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে শুভেন্দুর নাম রয়েছে। এর আগে আমফানের সময় মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারাও। কিন্তু এ বার তাঁরা যাচ্ছেন না। সরকারি বৈঠক বলেই বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: লকডাউনে বাড়িতে ছিলেন, আগের দিনই ম্যানেজার কাজে ডাকেন! তারপরই গেঞ্জি কারখানার অভিশপ্ত সেই রাত

মমতার সিদ্ধান্ত সঠিক বলে উল্লেখ করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘মমতা সঠিক ভাবেই প্রতিবাদ করেছেন। সাধারণভাবে এই ধরনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী থাকেন। কেউ যদি অতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে হাজির হন, তা মেনে নেওয়া যায় না। কোনও বিধায়ককে কেন ডাকা হবে? এর কোনও প্রয়োজন নেই।’

অন্য দিকে, এই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক বলেই মন্তব্য বিজেপির। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব আছে। এটাই সুস্থ গণতন্ত্রের নিদর্শন হওয়া উচিত।’