AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud Case: এবার প্রতারণার শিকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, আঙুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে গায়েব ১০ হাজার টাকা

Fraud Case: ওই শিক্ষাকর্মীর নাম উৎপল দে। তিনি বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দশ হাজার টাকা উধাও হয়েছে। শিক্ষাকর্মী জানিয়েছেন, গতবছর তিনি একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছিলেন। সেখানে রেজিস্ট্রি করার জন্য আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে হয়েছে। আর একমাস আগে রেশন তোলার জন্য তাঁকে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে হয়েছে।

Fraud Case: এবার প্রতারণার শিকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, আঙুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে গায়েব ১০ হাজার টাকা
উৎপল দে, যাদবপুরের শিক্ষকImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2023 | 3:38 PM
Share

কলকাতা: আধার কার্ডের আঙুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ ভূরি-ভূরি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু ব্যক্তি। আঙুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। আর এবার এই প্রতারণার শিকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের নাম করে প্রথমে তাঁর কাছে প্রথমে আসে ইমেল। সেখান থেকে ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য ও অ্যাকাউন্ট নম্বর জানার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। পরে আঙুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে  অ্যাকাউন্ট গায়েব করে দিয়েছে টাকা।

ওই কর্মীর নাম উৎপল দে। তিনি বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা। কয়েকদিন আগেই হঠাৎ দেখেন হুহু করে ইমেল আসছে। সেখানে লেখা আধার ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচ করেছে। প্রথমে সেই ইমেল ভাল করে না পড়লেও পরে দেখা যায়, যে সমস্ত ব্যাঙ্ক থেকে আসছে তাতে তাঁর কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। তার মধ্যেই একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করে চলে যায় দশ হাজার টাকা। এরপরই ইমেল আসার কারণ দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মীর কাছে।

জানা গিয়েছে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দশ হাজার টাকা উধাও হয়েছে। কর্মী জানিয়েছেন, গতবছর তিনি একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছিলেন। সেখানে রেজিস্ট্রি করার জন্য আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে হয়েছে। আর একমাস আগে রেশন তোলার জন্য তাঁকে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করতে হয়েছে। এরপরই আধার অফিস থেকে মেইল আসা শুরু হয় তাঁর কাছে। সেই মেইল থেকে তিনি জানতে পারেন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর টাকা রয়েছে তা জানার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করা হয়েছে। তারপর যে ব্যাঙ্কে ওই ব্যক্তির টাকা রয়েছে সেখান থেকে তোলা হয়েছে দশ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

উৎপল দে বলেন, “কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আমার টাকা রয়েছে তা জানার জন্য ওরা যে চেক করছে সেটা আমার কাছে মেইল মারফত আসছে। শেষে ভেরিফিকেশন করে যখন বুঝতে পেরেছে সেই সময় আমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছে। আমি তো বায়োমেন্ট্রিক অন করতে সাহস পাচ্ছি না।”

ফলত, বলাই যায় যাঁরা মূলত প্রতারণা করছেন, তাঁরা আধার নম্বর ও আঙুলের ছাপকে হাতিয়ার করছেন টাকা তোলার জন্য। কোন ব্যক্তির কোন অ্যাকাউন্টে টাকা রয়েছে তা জানার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাচ্ছেন। আর তারপরই গায়েব করে দিচ্ছেন টাকা।