TET Agitation: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ করতে হবে, প্রয়োজনে আবার কালীঘাটে যাবেন চাকরি প্রার্থীরা
TET Agitation: টেট উত্তীর্ণ ডিএলএড ঐক্যমঞ্চের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, স্বচ্ছতা বজায় রেখে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতেই আজ বিকাশ ভবনের সামনে জড় হয়েছেন তাঁরা।
টেট উত্তীর্ণ ডিএলএড ঐক্যমঞ্চের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, স্বচ্ছতা বজায় রেখে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতেই আজ বিকাশ ভবনের সামনে জড় হয়েছেন তাঁরা। এ দিন পর্ষদ সভাপতির দফতরে গিয়ে ডেপুটেশনে জমা দিয়েছেন ওই টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, যে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল তা চলবে। প্রশাসনিক সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ২০১৫ সালে তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হন। এরপর সরকারি উদ্যোগে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা DLEd-এর প্রশিক্ষণ নেন তাঁরা। গত বছরের নভেম্বরে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেই নিয়োগ হয়নি বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। বাকি সাড়ে ৪ হাজার পদে এখনও নিয়োগ হয়নি বলেই অভিযোগ। সেই কারণেই এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার চাকরি প্রার্থীরা জমায়েত শুরু করলে তাঁদের বিধাননগর উত্তর থানার বিকাশ ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর ময়ূখ ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থানে বসে পড়েন। তাঁদের দাবি না মানা হলে গণ আত্মহত্যার করবেন বলে হুমকিও দেন বিক্ষোভকারীরা। পরে চাকরি প্রার্থীদের প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন ডেপুটেশন দিতে। পর্ষদ সভাপতি, শিক্ষামন্ত্রী কেউই ছিলেন না। পর্ষদ সভাপতির পিএ- র কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন। কোনও আশ্বাস তাঁরা পাননি বলেই দাবি। তাই তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
তাঁদের দাবি, যে মেধা তালিকা প্রকাশ হয়েছিল তাতে ‘নট ইনক্লুডেড’ হিসেবে তাদের নাম জায়গা পেয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ধাপে ধাপে বাকিদের নিয়োগ হয়ে যাবে। কিন্তু এত দিনেও কেন নিয়োগ করা গেল না এই প্রশ্ন তুলেই এ দিনের অবস্থান। তাদের আরও অভিযোগ, টেট অনুত্তীর্ণরাও চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু তাদের নিয়োগ হয়নি। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করছে পর্ষদ সভাপতি? এই প্রশ্নও তুলছেন চাকরি প্রার্থীরা।