সিবিআই কয়লা পাচারের তদন্ত শুরু করার আগেই দুবাই পালায় ‘ফান্ডম্যান’ বিনয়

বিনয়ের হাল হকিকত জানতে তাই বিনয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের উপরও নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে খোঁজ চলছে দুবাইয়ে কোথায় কার আশ্রয়ে রয়েছে বিনয়।

সিবিআই কয়লা পাচারের তদন্ত শুরু করার আগেই দুবাই পালায় 'ফান্ডম্যান' বিনয়
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 01, 2021 | 10:19 PM

সুজয় পাল: বৃহস্পতিবার যখন সিবিআই (CBI) বিনয়ের একের পর এক বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে, তখন সে দুবাইতে বসে। এক দু’দিন নয়, প্রায় সাড়ে তিন মাস আগেই দেশ ছেড়ে দুবাইতে চম্পট দিয়েছিল কয়লা (Coal Smuggling Case) এবং গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) চক্রের মূল ‘লিঙ্কম্যান’ বিনয় মিশ্র।

সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের দাবি, কয়লা পাচার নিয়ে সিবিআই তদন্ত ভার হাতে নেওয়ার আগেই বেপাত্তা হয়ে যায় বিনয়। এক সিবিআই আধিকারিকের কথায়, গরু পাচারের তদন্ত শুরু হতেই বিপদ বুঝে পালায় বিনয়। কারণ গরু পাচার চক্রের মাথা এনামূল হকের বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা হানা দেওয়ার পরই, বিনয় বুঝতে পেরেছিল যে তার নাম উঠে আসবে তদন্তে। দুবাইতেই পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে এই মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়াও।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের দাবি, গবাদি পশু পাচার, বেআইনি কয়লা পাচার থেকে শুরু করে রাজ্যে বিভিন্ন বেআইনি কারবারের কাটমানি বিনয়ের হাত ধরেই পৌঁছত কলকাতার এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের হাতে। আর সেই কারণে কয়লা পাচার, গরুপাচার বা বেআইনি বালি এবং পাথর খাদান চালায় যে চক্রগুলো তার সঙ্গেও রয়েছে বিনয়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। তাই সিবিআইয়ের গরুপাচার এবং কয়লা পাচারের তদন্তে বিনয় এক অতি গুরুত্বপূর্ণ মিসিং লিঙ্ক।

বিনয়ের হাল হকিকত জানতে তাই বিনয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের উপরও নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে খোঁজ চলছে দুবাইয়ে কোথায় কার আশ্রয়ে রয়েছে বিনয়।

আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম বিশেষজ্ঞ-অনুমোদন পেল অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন

প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দাদের ধারণা, কারোর নির্দেশেই দেশ ছেড়ে চম্পট দিয়েছে বিনয়। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি এবং কয়লা পাচার চক্রের কিংপিন অনুপ মাজির সহযোগীদের জেরা করে গোয়েন্দাদের ধারণা, দুবাইয়ে বিনয় বা তার রাজনৈতিক ‘মেন্টরের’ ব্যবসায়ীক যোগ রয়েছে। অর্থাৎ, কাটমানির বিপুল টাকা লগ্নি করা হয়েছে দুবাইতে। সেই সূত্র ধরেই সম্ভবত দুবাই বা আরব আমিরশাহির কোনও জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে বিনয়।

সিবিআই আধিকারিকদের ইঙ্গিত, বিনয়ের হদিশ পেতে প্রয়োজনে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য নিতে পারেন তাঁরা। দুবাইয়ের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব ভাল। এর আগেও, এনআইএ-র মতো সংস্থা দুবাই প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে অভিযুক্তদের পাকড়াও করেছে। তবে তার আগে, বিনয় দুবাইয়ের কোথায় কার কাছে এবং কার সাহায্যে আশ্রয় পেয়েছে সেই তথ্য সংগ্রহ করতে চান গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: আরও ৪ ব্যক্তির শরীরে ব্রিটেনের ‘স্ট্রেন’! দেশে ‘সুপার স্প্রেডারে’ আক্রান্ত ২৯